রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৯:৪৭
ব্রেকিং নিউজ

করোনার প্রভাবে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর

করোনার প্রভাবে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর

উত্তরণ বার্তা ডেস্ক : কভিড-১৯ অতিমারির কারণে আর্থিক দুরবস্থায় পড়া পরিবারের ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা পরিবারে সহায়তা করতে গিয়ে পড়াশোনা ছেড়েছে। তাদের আয় কমে গেছে ৮০ শতাংশের মতো।

রোববার ‘কভিড-১৯ ও বাংলাদেশ : আর্থসামাজিক পুনরুজ্জীবনে যুব এজেন্ডা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এ তথ্য তুলে ধরে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ। অক্টোবরে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১১৬৩ জনের ওপর অনলাইনে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

এর ফলাফলে বলা হয়েছে, অতিমারির কারণে প্রযুক্তিগত বৈষম্য, শিক্ষা ও দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। নারীদের মধ্যে ৮ শতাংশ বিয়ের কারণে পড়াশোনা ছেড়েছে। আর পরিবারকে সহায়তা করার জন্য ছেড়েছে ১৩ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে এটি ৩২ শতাংশ। দুই-তৃতীয়াংশ ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ, একশনএইড বাংলাদেশ, ফ্রেডরিক ইবার্ট স্টিফটুং বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। জরিপ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির কর্মসূচি সহযোগী তামারা-ই-তাবাসসুম। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আলোচনায় অংশ নিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন তরুণরা।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিডে তরুণ-যুবাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। ৯৬ শতাংশ জানিয়েছে, তারা নানা ধরনের মানসিক অবসাদে ভুগছে। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশের অবসাদ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। অনলাইনে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে যুক্ত নেই ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যুবসমাজের একটি অংশ শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন তৎপরতায় সক্রিয় রয়েছে। অপর একটি অংশ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। কেউ মাদকে যুক্ত, কেউ অবসাদে ভুগছেন। তাই অখণ্ড নয়, বিভাজিতভাবেই যুবাদের দেখতে হবে এবং তাদের কীভাবে সক্রিয়ভাবে কর্মসংস্থানে যুক্ত করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK