শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৫:৪৯
ব্রেকিং নিউজ

ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে

ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : যশোরের কেশবপুর, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও বরগুনার বামনায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ ঘণ্টায় ২৯ জন রোগী ডায়রিয়া, নিওমোনিয়া ও পেট ব্যথাজনিত কারণে ভর্তি হয়েছেন। প্রতিবেদকদের পাঠানো খবর:

কেশবপুর (যশোর): উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সাত জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ জন শিশু ও দুই জন নারী। তীব্র গরমের কারণে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসকেরাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য সহকারীরা বাড়ি বাড়ি ডায়রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। পৌর শহরের স্বর্ণপট্টিতে পল্লী চিকিৎসক সুভাষ দেবনাথ, উপজেলার মূলগ্রামের পল্লী চিকিত্সক হাবিবুর রহমান ও কোমরপোল গ্রামের পল্লী চিকিত্সক নূরুল ইসলাম জানান, তারা প্রতিদিনই ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের চিকিত্সা দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সাত জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এর মধ্যে পাঁচ জন শিশু ও দুই জন নারী রয়েছে। পর্যাপ্ত স্যালাইনসহ ডায়রিয়ার হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সহকারীরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে ডায়রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। হঠাত্ করে প্রচণ্ড তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল): ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে হঠাৎ করেই গেল পাঁচ ঘণ্টায় ২৯ জন রোগী ডায়রিয়া, নিওমোনিয়া ও পেট ব্যথাজনিত কারণে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে এই সময়ের মধ্যে রোগীরা ভর্তি হন। উপজেলা কুঠিবয়ড়া থেকে হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিত্সা নিতে আসা মোশারফ হোসেন (৫০) বলেন, ‘রাত থেকেই পেটের ব্যথা অনুভব করি। এসময় পাতলা পায়খানাও হয়েছে কয়েকবার। পরে সকালে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই।’ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাদিয়া ইমরোজ বলেন, ‘এই সময় ঋতু পরিবর্তন, ব্যাপক দাবদাহ, করোনার উপসর্গ হিসেবেও ডায়রিয়া হতে পারে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরকম আগে এতো কম সময়ে এতো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।’ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মহীউদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ করেই গেল পাঁচ ঘণ্টায় নারী, পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ২৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি।’

বামনা (বরগুনা): উপজেলা হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে ১৫০ জন। এছাড়া প্রতিটা গ্রামেই ৮-১০ জন ডায়রিয়া রোগী আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে বসে চিকিত্সা নিচ্ছেন বলে জানা যায়। গত শনিবার বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় মেঝে, বারান্দা ও সিঁড়িতেই চিকিত্সা নিচ্ছেন ডায়রিয়ার রোগীরা। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রিয়াজুল ইসলাম জানান, আমরা ডাক্তার ও নার্সরা ডাবল শিফট ডিউটি করেও কোনো ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না ডায়রিয়া। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট জনবলের সংকট রয়েছে, তারপরও আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।’
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ