শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২২:১৫
ব্রেকিং নিউজ

করোনায় পথশিশুদের পাশে ‘মজার ইশকুল’

করোনায় পথশিশুদের পাশে ‘মজার ইশকুল’

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : করোনায় খাদ্যসহায়তা নিয়ে পথশিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘মজার ইশকুল’। পথশিশুদের শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি শিশুদের খাবার সরবরাহ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য তেল, সাবান-শ্যাম্পু, নিয়মিত মেডিক্যাল চেকআপ করে থাকে। ‘খাদ্য-শিক্ষা-প্রযুক্তি’—মূলমন্ত্রে চলছে মজার ইশকুল। আট বছরের বেশি সময় ধরে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত ন্যাশনাল কারিকুলামে ৮৫০ জন এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় ১ হাজার ৬৫০ সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুকে বিনা মূল্যে শিক্ষা প্রদান করছে এই মজার ইশকুল।

প্রতিষ্ঠানের নামকরণ ইশকুল হলেও এই স্কুলে যারা পড়তে আসে, তারা অন্যসব ইশকুলের মতো নিয়মকানুন ঠিকমতো মানে না। ব্যতিক্রম এই ইশকুলে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়া হয় মজার ছলে এবং শিক্ষা শেষে তারা পায় পেটভরে খাবার। কারণ এই ইশকুলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সমাজের সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু। রাজধানীর শাহবাগের উদ্যানে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জীবনে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এই ইশকুুলের যাত্রা শুরু হয়। মজার ইশকুল মূলত পথশিশুদের স্কুল, আনন্দের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত।

করোনার শুরু থেকেই মজার ইশকুল লড়াই করছে ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে। তারা যেমন আছে অসহায় মানুষের পাশে, তেমনি আছে ইশকুলের শিশু শিক্ষার্থীদের পাশে। মজার ইশকুলের স্বেচ্ছাসেবকরা পাশে থাকলে, এই যাত্রা থেমে যাবে না বলে জানান প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাকিল আহমেদ। শিক্ষার্থী তাসপিয়া জান্নাত। রাজধানীর আগারগাঁও থাকে সে। বড় হয়ে সে শিক্ষক হতে চায়। তার স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা। বাবা কাজ করেন হোটেলে আর মা পরিচ্ছন্নতা কর্মী। তাসপিয়া মজার ইশকুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লামিয়া আক্তার লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হতে চায়। বাবা দিনমজুর, মা চটপটির দোকানদার। লামিয়া মজার ইশকুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সাবিনা ২০১৭ সালে রাজধানীর আগারগাঁও এ ভর্তি হয়।
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ