শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
ঢাকা সময়: ১৫:০৩

বাংলাদেশ ও ভারতকে যুক্ত করছে যে নদীসেতু

বাংলাদেশ ও ভারতকে যুক্ত করছে যে নদীসেতু

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সংযোগের জন্য ফেনী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে প্রথম নদীসেতু।  প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা এই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে মৈত্রী সেতু। এটি মঙ্গলবার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার রাতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি এই সেতুটির উদ্বোধন করবেন। সাবরুমে এই চেকপোস্টের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে মালামাল ও মানুষজনের চলাচলও অনেক সহজ হবে বলে বলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিক রেখায় অনেক নদী বয়ে গেলেও কোনো সেতুর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হয়নি। বাংলাদেশ ও ভারতেরে মধ্যে এটি প্রথম নদীসেতু। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই মৈত্রী সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১.৯ কিলোমিটার। এটি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনএইচআইডিসিএল প্রায় ১৩৩ কোটি রুপি খরচ করে নির্মাণ করেছে। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর।

সেতুর একপ্রান্তে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম শহর, অন্যপ্রান্তে বাংলাদেশের রামগড় - আর চট্টগ্রাম বন্দর।  এই বন্দর ব্যবহারের ফলে এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের আমূল পরিবর্তন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাবরুম আর রামগড়ের মাঝে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত 'মৈত্রী সেতু' সেই অভাবই শুধু মেটাবে না, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের একেবারে হাতের নাগালে এনে দেবে।

ত্রিপুরার উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বিবিসিকে বলেছেন, এই একটা সেতুই তার রাজ্যকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গেটওয়ে বা প্রবেশপথে পরিণত করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।  পার্লামেন্টও সে প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এই ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট-টা শুধু ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্যই।

২০১৫ সালের জুন মাসে ঢাকাতে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা মিলে যৌথভাবেই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। তবে এখন যখন ফেনী নদীর সেতুটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে, তখন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই সেটির উদ্বোধন করবেন। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে কি না সে ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK