শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৫:০৮
ব্রেকিং নিউজ

প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস

প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : পরিকল্পিত অর্থনীতির জন্য সঠিক পরিসংখ্যান অপরিহার্য। আর এ কারণে দিন দিন বাড়ছে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব। সে গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে দেশে আজ প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস। ২০২০ সালের ৮ জুন মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রতিবছর ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে পরিসংখ্যান দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে পরিসংখ্যান আইন পাস করা হয়। এ আইনের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আসে। এ দিবসটির স্মরণেই ২৭ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস হিসাবে বেছে নেয়া হয়।

এর আগে বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ২০ অক্টোবর বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়ে আসছিল। পৃথক দিনে এবার প্রথমবারের মতো জাতীয় দিবস পালনের মাধ্যমে এক বছরে দু’বার পরিসংখ্যান দিবস পালিত হবে। ১৯৭৪ সালের ২৬ আগস্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন চারটি পরিসংখ্যান সংস্থাকে এক করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর অনেক বন্ধুর পথ পেরিয়ে আজ শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়েছে দেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থা।দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান টেকসই উন্নয়নের উপাদান’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রতিটি সেক্টরে নির্ভুল ও সময়ানুগ পরিসংখ্যানের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালনের মধ্য দিয়ে দেশের সকল খাতে পরিসংখ্যানের প্রয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী পরিসংখ্যান টেকসই উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভিত্তি হিসাবে কাজ করে।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, টেকসই উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী পরিসংখ্যান ভিত্তি হিসাবে কাজ করে এবং আমাদের পরিবর্তিত বিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করে।’

এ প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ানি চৌধুরী বলেন, ‘পরিসংখ্যানের গুরুত্ব সব সময়ই ছিল। কিন্তু এখন আরও অনেক বেড়েছে।  কারণ দেশের অর্থনীতির পালস বুঝতে হলে পরিসংখ্যানের বিকল্প নেই। তাছাড়া জাতির উন্নয়ন আর অগ্রগতি যা-ই বলেন, সবকিছুর সঙ্গেই পরিসংখ্যান জড়িত। মানুষের সুষম উন্নয়নের জন্যও পরিকল্পনার প্রয়োজন। এখন বিশ্বব্যাপী পরিসংখ্যানের দিক বিবেচনা করেই উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। আর এর গুরুত্ব বিবেচনা করেই ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সঠিক পরিসংখ্যানের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বিশেষ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে। রাজধানীর সড়ক দ্বীপগুলোকে বিশেষভাবে সজ্জিত করা হয়েছে। দিবসের মূল আলোচনা অনুষ্ঠান হবে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এতে প্রধান অতিথি থাকবেন। বিবিএস সূত্র জানিয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর বাইরেও সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে জেলা প্রশাসন। র‌্যালি, আলোচনা সভার আয়োজন করার জন্য বিবিএসের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ