বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
ঢাকা সময়: ২৩:১০
ব্রেকিং নিউজ

মঙ্গলে পাসিভিআরান্স রোভারের তোলা প্রথম প্যানোরোমা ছবি

মঙ্গলে পাসিভিআরান্স রোভারের তোলা প্রথম প্যানোরোমা ছবি

উত্তরণ বার্তা তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : পাসিভিআরান্স রোভার মঙ্গল গ্রহের ‘জেজোরো ক্রেটার’ নামক যে এলাকায় অবতরণ করেছে, এবার সে এলাকার আকর্ষণীয় একটি প্যানোরামিক দৃশ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গত বছরের জুলাইয়ে পৃথিবী থেকে উড়াল দেয়ার সাত মাস পর ৪৭ কোটি মাইল পথ পাড়ি দিয়ে গত সপ্তাহে ‘জেজোরো ক্রেটার’ এলাকায় অবতরণে সক্ষম হয় নাসার সর্বাধুনিক মঙ্গলযান পাসিভিআরান্স রোভার। প্যানারোমা ছবিতে ক্রেটারের রিম এবং শুকিয়ে যাওয়া প্রাচীন হৃদ ডেল্টার খাড়া মুখ দূরত্বে ধরা পড়েছে। ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরামা ছবিটি তুলেছে রোভারের মাস্ট ক্যামেরা। এটি একটি ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম, যা হাই-ডেফিনিশন ভিডিও এবং ফটো তুলতে পারে। পাসিভিআরান্স রোভারে মোট ২৫টি ক্যামেরা ও দুটি মাইক্রোফোন রয়েছে। নাসা জানিয়েছে, ১৪২টি আলাদা আলাদা ছবির সমন্বয়ে প্যানোরোমা ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

মঙ্গলের ‘জেজোরো ক্রেটার’ যে এলাকায় বর্তমানে রোভারটি রয়েছে, ওই এলাকাটির আয়তন প্রায় ৪৯ কিলোমিটার। এই জায়গাটিতে কোনো সুবিশাল আগ্নেয়গিরির জন্য বিশালাকার গর্ত বা ক্রেটার তৈরি হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এই ক্রেটারের বয়স প্রায় ৩৫০ কোটি বছর। গবেষকদের বিশ্বাস, এই এলাকায় এক সময় হৃদ ছিল, পরে সেটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাই মঙ্গলে প্রাণের ইতিহাস সন্ধানে এটি সবচেয়ে সম্ভাবনায় এলাকা। পাসিভিআরান্স এই ক্রেটারে ঘুরে ঘুরে সেই হারিয়ে যাওয়া প্রাণের খোঁজ চালাবে। পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়েও গবেষণা করবে। এছাড়া গ্রহটিতে কার্বনডাইঅক্সাইড থেকে অক্সিজেন তৈরির কাজ করবে।

এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার মঙ্গল গ্রহে ধারণ করা শব্দ প্রকাশ করেছিল নাসা। এছাড়া পাসিভিআরান্স রোভার অবতরণকালীন সময়ের হাই ডেফিনিশন ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছিল। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, মঙ্গল গ্রহে অবতরণ সময়কালের শ্বাসরুদ্ধকর শেষ তিন মিনিট ২৫ সেকেন্ডের দৃশ্য। যা ধারণ করে পৃথিবীতে পাঠায় পাসিভিআরান্স রোভার। ফুটেজে দেখা যায়, বিরাট প্যারাশ্যুট খুলে গতি কমিয়ে মঙ্গলের মাটিতে নেমে আসছে পাসিভিআরান্স, ধুলো উঠছে লালমাটির। শব্দ হচ্ছে। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের শব্দ এবং দৃশ্য দুটোই ধারণ করে পাসিভিআরান্স। অডিও ফাইলে ধরা পড়ে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণকালীন শব্দ। এর আগে কোনো মঙ্গল অভিযানে শব্দ রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অবতরণ মুহূর্তের হাই ডেফিনেশন ভিডিও ফুটেজও এর আগে কোনো অভিযানে ধারণ করা যায়নি।
উত্তরণ বার্তা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK