বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৪:৪১
ব্রেকিং নিউজ

স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার উসকানি যারা দিচ্ছে তারা জাতির শত্রু : আমু

স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার উসকানি যারা দিচ্ছে  তারা জাতির শত্রু : আমু

উত্তরণ বার্তা  প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, করোনা সংকটকালে যারা স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার উসকানি দিচ্ছে, তারা ছাত্রসমাজের তো নয়-ই, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে করোনা সংকট উত্তরণের পথে আজ বাংলাদেশ। সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দেশকে যখন তিনি উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করছেন, স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, তখনই আবার ষড়যন্ত্রকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, বিভিন্ন ইস্যুতে উসকানি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা সংকটকালে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার জন্য যারা উসকানি দিচ্ছে, ছাত্রসমাজের তো নয়-ই, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। ওই ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে একটি ভয়াবহ মহামারির দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, পায়ের নিচে মাটি না থাকলে আন্তর্জাতিক বলয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশীয় ভিত কাঁপানো যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারের শিকড় অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এবং গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসকে সিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদ আলী খানসহ ১৪ দলের নেতারা।

নেতারা বলেন, ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল না, এটা আত্মনিয়ন্ত্রণ ও গণতান্ত্রিক অধিকারের এবং জাতিসত্বা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল। অফিস-আদালতসহ সর্বত্র ভাষার সঠিক ব্যবহার করে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।এ সময় নেতারা জাতিসংঘ এবং ওআইসিতে বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান।
উত্তরণ বার্তা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ