শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৪:০৪

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতিফল

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতিফল

স্কোয়াড্রন লীডার (অবঃ) সাদরুল আহমেদ খান
 
গত ০৭ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে তৃতীয় টার্মিনালে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টার্মিনালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সফট ওপেনিংয়ের পর আজ রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশের নেপালগামী একটি ফ্লাইট তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার করে ঢাকা ত্যাগ করে। সেই ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংও করে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স বিমান।
 
২০১৭ সালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। এরপর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। আর বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
 
৩০ লাখ বর্গফুট জায়গায় তিনতলা বিশিষ্ট এ টার্মিনাল ভবনটির আয়তন হবে ২ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গমিটার এবং লম্বা ৭০০ মিটার ও চওড়া ২০০ মিটার। এ ভবনটির নকশা করেছেন রোহানি বাহারিন। ৩য় টার্মিনাল ভবনে প্রথম পর্যায়ে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে আরও ১৪টি বোডিং ব্রিজ স্থাপন করা হবে। বহির্গমনে মোট ১১৫টি চেক-ইন-কাউন্টার থাকবে, এর মধ্যে ১৫টি থাকবে সেলফ সার্ভিস চেক ইন কাউন্টার। আগমনী লাউঞ্জে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট চেক ইন কাউন্টার থাকবে।
 
এছাড়া, ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ মোট ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে। তৃতীয় টার্মিনালের সাথে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হবে। সেখানে প্রায় ১২৫০টি গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা থাকবে। তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের ভেতরেই ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের জন্য সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন আলাদা নির্ধারিত অংশ থাকবে। শুধু তৃতীয় টার্মিনাল  দিয়ে বছরে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
 
তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ ও উড়াল সেতু নির্মাণ করা হবে। যার মাধ্যমে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের সংযোগ ব্যবস্থা থাকবে। তৃতীয় টার্মিনালে থাকবে অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা। এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি)-এর মাধ্যমে জাপানের মিৎসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে।
 
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। 
 
সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK