শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৬:১৪

বন্দুক হামলা নিয়ন্ত্রণে নতুন দপ্তর খুলছেন বাইডেন, প্রধান কমলা হ্যারিস

বন্দুক হামলা নিয়ন্ত্রণে নতুন দপ্তর খুলছেন বাইডেন, প্রধান কমলা হ্যারিস

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছরে বন্দুক হামলার পরিমাণ বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবারও একটি হামলার ঘটনায় কিশোরসহ তিন জন নিহত হয়েছে। এসব হামলা নিয়ন্ত্রণে একটি দপ্তর খোলার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দপ্তরটির প্রধান হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

শনিবার গত কয়েক বছরে বন্দুক হামলায় নিহতদের স্মরণে হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও বন্দুক সহিংসতায় নিহতদের আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বাইডেন বলেন, ‘ঝড়ের মতো বাড়তে থাকা বন্দুক সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্র ছারখার হয়ে যাচ্ছে। এই সংকট নিয়ন্ত্রণে আমার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় শিগিগরই একটি নতুন দপ্তর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যেটির কাজ হবে এ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হবেন সেই দপ্তরের প্রধান।’

এ বিষয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় আর নেই। এভাবে মানুষের জীবন নষ্ট হতে দেয়া যায় না। স্বাধীনতার সঙ্গে জনগণের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কিত, আমরা এখন জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করব।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে ও নর্থ-ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত ডাটাবেইজের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৩৫টি বড় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া বন্দুক সহিংসতায় দেশটিতে গত ৯ মাসে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭১ জন। তবে নতুন দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কতখানি কাজে আসবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক। কারণ, বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হলো আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বন্দুক বা অস্ত্র কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণ করা।

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় এক শপিং মলে গুলিতে এক কিশোরসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। আমেরিকার স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর দেড়টায় ঐ হামলা হয়। এরপরই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে এক জন বন্দুকধারী। এক ব্যক্তি বন্দুক হাতে আকস্মিক গুলি চালান। তার গুলিতে দুই জন আহত হন। এক জন সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন। অন্যজন পালটা গুলি চালান। তারপর তিনিও লুটিয়ে পড়েন। মারা যান হামলাকারীও। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এর পেছনে আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। —রয়টার্স ও সিএনএন
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK