শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০২:৪১
ব্রেকিং নিউজ

দুর্গম পদ্মার চরে ফসলের হাসি

দুর্গম পদ্মার চরে ফসলের হাসি

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : কয়েক বছর ধরে মূল ভুখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সংলগ্ন পদ্মার চরে শুরু হয়েছে নানা ফসলের আবাদ। নতুন করে আশার আলো দেখছেন চরের হাজার হাজার মানুষ। প্রায় দুই যুগ আগে পদ্মানদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় দৌলতপুরের রামকৃষ্ণপুর আর চিলমারী ইউনিয়ন। পরে সেখানে চর জেগে উঠলেও কোন কাজে আসত না মানুষের। দুর্গম সে চরে এখন ফসলের হাসি।
 
বিচ্ছিন্ন এ চরের যতদূর চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবুজ। যেন কেউ নিপুণ হাতে আদিগন্ত সবুজের গালিচা বিছিয়েছে। এক সময়ের দুর্গম এই পদ্মার চর এখন গম, মশুর, ছোলা, ভুট্টা, মটর খেসারিসহ নানা রবি ফসলে ছেয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এবং চিলমারি ইউনিয়নের চরে প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমি এবারে আবাদের আওতায় এসেছে।
 
কৃষক সিদ্দিক আলী বলেন, চরের মাটিতে বাদাম খুব ভালো হয়। আমি গত দুই বছর ধরে শুস্ক মৌসুমে বাদামের চাষ করি। বেশ ভালো ফলন হয়। এছাড়া এই চরে ভুট্টা ও মোটরের চাষও হচ্ছে। আইনাল হক নামের আরেক কৃষক বলেন, বর্ষায় যেখানে পানি থাকে শুষ্ক মৌসুমে সেখানে পানি শুকিয়ে আসলে আমরা বিভিন্ন ফসলের চাষ করি। গত বছর আমি তিন বিঘার মতো জমিতে খেসারি চাষ করেছিলাম।
 
পলাশ আলী নামের ভুট্টা চাষি বলেন, আমি এই চরের প্রায় ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। গাছ বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালো ফলন পাবো। দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, চর এলাকায় চিনাবাদাম, গম, মশুর, ছোলা, ভুট্টা, মটর খেসারিসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়েছে। এবার এই চরাঞ্চল থেকে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার রবিশস্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে। 
উত্তরণবার্তা/সাব্বির

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ