শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
ঢাকা সময়: ২১:৩৩

উত্তর জনপদে শৈত্যপ্রবাহ সঙ্গে ঘন কুয়াশা

উত্তর জনপদে শৈত্যপ্রবাহ সঙ্গে ঘন কুয়াশা

উত্তর বার্তা প্রতিবেদক : দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে আবারও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। শৈত্যপ্রবাহের কারণে এক দিনের ব্যবধানে গতকাল এই অঞ্চলে তাপমাত্রা অনেকটা কমে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার সারা দিন দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রির ওপরে থাকলেও দিবাগত রাত থেকে এই অঞ্চলে বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এই শৈত্যপ্রবাহের কারণে এক দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা বেশ কমে গেছে। বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি বলেন, ‌‘হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমালয়ের হিমশীতল বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এই শৈত্যপ্রবাহের কারণে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে। তবে এটিই এই মৌসুমের সর্বশেষ শৈত্যপ্রবাহ বলে আভাস দেন তিনি। শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি এই অঞ্চলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পরিলক্ষিত হচ্ছে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচল করছে ধীরগতিতে। হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।’

কুড়িগ্রামে জনজীবন স্থবির
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। উত্তরের হিমেল হাওয়া ঠান্ডার মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিকাল হলেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি, যা অব্যাহত থাকছে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত। শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিকরা। এদিকে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই ইনডোরের পাশাপাশি আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে অন্তত ৮০০ থেকে ৯০০ রোগী।
উত্তরণ বার্তা/এআর


 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK