শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৪:২১
ব্রেকিং নিউজ

ঝলমলে শহর লাস ভেগাস

ঝলমলে শহর লাস ভেগাস

উত্তরণ বার্তা ডেস্ক : মোজাভে নামের মরুভূমির মাঝে ঝলমলে এক শহর। রাতের বর্ণিল সাজে সাজানো পুরো শহর। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ। শহর লাস ভেগাস। মেয়ে থাকে লস এঞ্জেলসের এক শহরে। সেখান থেকেই কয়েক ঘণ্টার পথ। অনেক পাহাড়ের পাদদেশ ছুঁয়ে আছে ফ্লেমিঙ্গো হোটেলে।

বেরুলেই দেখা যাবে হোটেলের ফ্লোর থেকেই আলো ঠিকরে বেরিয়ে আসছে যেন। কালো গ্রানাইড দিয়ে ফ্লোরগুলো বানানো। এতে প্রচুর গ্লিটারস বসানো। সেখানেও নানা রঙের লাইটের সমাহার। হোটেলের নিচে নেমে অবাক হতে হয়। নিচের ফ্লোরটার চারদিকে ক্যাসিনো বসানো। ক্যাসিনোর মাঝখান দিয়েই রাস্তাটা। প্রতিটি হোটেলেই একই রকম ব্যবস্থা। একেকটা হোটেল একেকটা শহরের আদলেই তৈরি। প্যারিস ভেনাস থেকে শুরু করে মিশরের পিরামিড আর আইফেল টাওয়ার থেকে নিউইয়র্ক শহর। হোটেলের সিঁড়িতে দাঁড়ালেই সিঁড়ি চলতে শুরু করে। ছোট ছোট শাটল ট্রেনেরও প্রচলন আছে। বড় বড় তেজি ঘোড়া দিয়ে সাজানো গাড়িগুলোতে নানা বর্ণের মেয়েরা নেচেগেয়ে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

দুনিয়ার ছোটখাটো একটা মডেল যেন তৈরি করে রেখেছে এখানে। একেকটা হোটেল একেকটা শহরের আদলেই তৈরি। রাস্তার দুধারে এত বাতির ঝলকানিতে যেন তারাগুলো খসে খসে নিচে নেমে আসে। লাকজোর হোটেলে ও মিশরের পিরামিডে ঢুকে হোটেলের ভিতরে ক্যাসিনোর টেবিলের পাশেই সাদা চামড়ার মেয়েরা বিভিন্ন সাজে অর্ধনগ্ন হয়ে নাছে। রাস্তাতেও তেমনি শ্বেতাঙ্গ মেয়েদেরকে শারীরিকভাবে বিভিন্ন ভঙ্গিতে কসরত করে। রাস্তায় নেমে প্রায় পাঁচ তালা ভবনের সমান উঁচু কোকাকোলা বোতল দেখে অনেকেই হা করে তাকিয়ে থাকে। এখানে ট্রাম্পেরও একটা হোটেল আছে, নাম ‘দি ট্রাম্প’। পুরো শহরের মাঝখানে ফোয়ারা বসানো নানান রকম করে, সেগুলো প্রদর্শন করে মানুষ। সবাই বিস্ময়ের সঙ্গে তা দেখে মুগ্ধ নয়নে। এক হোটেলের নাম সার্কাস। পুরাতন হোটেল। সেখানে সবসময়ই সার্কাস দেখানো হয়। হোটেল ভেনিসও খুব সুন্দর। দেখতে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্রের শহর। রাতের হৈচৈ একদমই বিলুপ্তপ্রায়। যার যার অফিসের কাজে সে সে ব্যস্ত। দেখা যাবে উঁচু বিরাট একটা নাগরদোলা। সবচেয়ে উঁচুতে উঠে পুরো শহর  দেখা যায়। নিচে গাড়িগুলো পিঁপড়ের সারির মতো চলে। এই সেই লাস ভেগাস। মরুভূমির মাঝে নেভাডা স্টেটের ঝলমলে শহর এই লাস ভেগাস।
উত্তরণ বার্তা/এআর


 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK