শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২২:১১
ব্রেকিং নিউজ

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেলো ২০ শিল্প প্রতিষ্ঠান

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেলো ২০ শিল্প প্রতিষ্ঠান

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বেসরকারি খাতে শিল্পকারখানা স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের হিসেবে ৬ ক্যাটাগরিতে ২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ দিয়েছে সরকার।বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক/প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
 
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআই‘র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, পুরস্কারপ্রাপ্ত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
 
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৫টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৫টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৪টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ১টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে। বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে ১ম হয়েছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড এবং ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। যৌথভাবে ২য় হয়েছে বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ফারিহা স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড। ৩য় হয়েছে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড।
 
মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম হয়েছে নোমান টেরি টাওয়াল মিলস্ লিমিটেড। যৌথভাবে ২য় হয়েছে মাসকোটেক্স লিমিটেড এবং এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস লিমিটেড। যৌথভাবে ৩য় হয়েছে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস্ লিমিটেড এবং অকো-টেক্স লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম হয়েছে মাসকো ওভারসিজ লিমিটেড, যৌথভাবে ২য় হয়েছে আব্দুল জলিল লিমিটেড এবং প্যাসিফিক সী ফুডস লিমিটেড। ৩য় হয়েছে মাধবদী ডাইং ফিনিশিং মিলস্ লিমিটেড।
 
মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে শুধু ১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে—মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজ। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম হয়েছে ইন্টেলিজেন্ট কার্ড লিমিটেড এবং ২য় হয়েছে রং মেলা নারী কল্যাণ সংস্থা (আর এন কে এস)। হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম হয়েছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ২য় হয়েছে মীর টেলিকম লিমিটেড এবং ৩য় হয়েছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড। শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ২০১৩’ অনুযায়ী ২০১৪ সালে ১ম বারের মত ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ প্রদান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ৬ষ্ঠ বারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ দেওয়া হলো।
 
সম্প্রতি সরকার ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করেছে। এতে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্য, ক্ষেত্র নির্ধারণ, পুরস্কার প্রাপকের সংখ্যা নির্ধারণ ও বিবেচনাসূত্র, মনোনয়ন যোগ্যতা, প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুতকরণ কমিটি, আবেদনপত্র মূল্যায়ন কমিটি এবং মনোনয়ন চূড়ান্তকরণ কমিটি গঠন ও কার্যপরিধি ইত্যাদি বর্ণিত আছে। রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পুরস্কারপ্রাপ্তির পরবর্তী এক বছর বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা তা বাধাগ্রস্ত করতে চায়। বর্তমান সরকারের অবদানের ফলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন তথা দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সামনেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের বিকল্প নেই।
 
শিল্পমন্ত্রী এ ধরনের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এই স্বীকৃতি দেশে শিল্প খাত বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। বাঙালি জাতিকে আত্মনির্ভরশীল ও শিল্পসমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি সব সময় বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর লক্ষ্যে তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এ অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকা পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় তাদের এ ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। অসীম দৃঢ়তা ও বিচক্ষণতার সাথে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপায়নের প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন।
উত্তরণবার্তা/এসএ

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ