বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১০:২৭

শাকের সবুজ ডগায় বেঁচে থাকার স্বপ্ন ওদের

শাকের সবুজ ডগায় বেঁচে থাকার স্বপ্ন ওদের

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : পালং শাক, মুলা শাক, কলমি শাক, চুকাই শাক, ধনে পাতা কিংবা কুমড়ো শাকের সবুজ ডগাতেই ওদের জীবন জীবিকা আর, বেঁচে থাকার সুখের স্বপ্ন। কখনো কখনো লাভের বদলে লোকসান ও হয়। আবার কখনো ভাল দাম পেয়ে পুষে যায়। তবু ও বন্ধ হয়না ওদের পথচলা। একটি ক্ষেতের ফলন ফুরনোর আগেই আরেকটি ক্ষেতে স্বপ্ন বোনা শুরু হয়। এভাবেই সবুজ শাকের সঙ্গেই চলে ওদের সুখ দুঃখ আর জীবন চক্র।

মীরসরাই উপজেলার ৯নং মীরসরাই ইউনিয়ন ও পৌরসভার একাংশ মিলে তালবাড়িয়া গ্রাম। কৃষিপ্রধান জনপদ মীরসরাই উপজেলার এই গ্রাম ও কৃষিতে অনন্য দৃষ্টান্তকারী অনেক কৃষকের বসবাস। অনেক সফল কৃষকের পাশাপাশি শাকচাষী কৃষক হেলাল উদ্দিন ( ৩৮) এই গ্রামের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বছরের নানা মৌসুমে নানান শাক চাষ করাই প্রধান জীবিকা তার। কখনো কখনো মা, চাচি, দাদী, প্রতিবেশী নারী পুরুষ সকলেই সাহায্য করে হেলালকে। সম্প্রতি সরেজমিনে শাক চাষ দেখতে গেলে দেখা যায়, পৌষের বিকালে পাশের গাঁয়ের মাসি ও বৌদি, নিজের বধূসহ কয়েকজন মিলে শাক তুলছে আর আঁটি বেঁধে তৈরি করে রাখছে পরদিন হাটে বিক্রির জন্য।

এ সময় শাক চাষ নিয়ে জানতে চাইলে হেলাল উদ্দিন বলেন, সারা বছরই শাক চাষ করেই সংসার চলে। পার্শ্ববর্তী অনেকে সাহায্য করে ওদের ও জীবিকা চলে। এবার ১২ কড়া জমিতে পালং শাক করেছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। প্রতিদিন হাজার টাকার শাক বিক্রি করছে। তবে এবার আগাম শাক না আসায় অন্য এলাকা থেকে অল্প দামের শাক বাজারে চলে আসায় দাম নিম্নমূখী। তাই আঁটি ১৫ টাকায় ও পাইকারি বিক্রি করতে হয়। তিনি জানান, এবার খরচ পুষিয়ে ও উঠবে না তাই। তবে পরের মৌসুমে ভাল দাম পাবার আশা আছে। একটি শাকের ক্ষেত থেকে বিক্রি শেষ হবার আগেই আরেকটি ক্ষেত প্রস্তুত করেন তিনি। আয়ের ও হিসেব করেন না। ব্যয়ের ও হিসেব করেন না। তবে বছরে লাখ টাকা ব্যয় হয়। খরচ উঠে নিজেও চলছেন। আগামীতে আরও কোনো বিশেষ উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে হেলাল বলেন, বর্গা জমি নিয়ে ফলন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে হেলাল অভিযোগ করেন, কৃষি বিভাগ থেকে কোনো সহযোগিতা করেনি। সার, বীজ কিংবা কীটনাশকের বিষয়ে কোনো সহযোগিতা কখনো পাননি তিনি। মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার হাজী নুরুল আলম জানান, কৃষকদের সব পরামর্শ ও সেবা দিতে প্রস্তুত কৃষি বিভাগ। আমাদের মাঠকর্মী কিংবা আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলেই আমরা যে কোনো সহযোগিতা করবো আমরা।
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ