বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২৩:৩৪
ব্রেকিং নিউজ

আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটার বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

আইন-শৃঙ্খলার  অবনতি না ঘটার  বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সামনে রাজনৈতিক দলের সভা সমাবশের কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সামনে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে। তাদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশের। সরকারি ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে হবে।’ 
 
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। নগরবাসীর আস্থা অর্জনে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাজ হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্যারেডের বিকল্প নেই। ফিজিক্যাল ফিটনেস এবং মাঠ পর্যায় দু’ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা থাকতে হবে। ডিএমপি কমিশনার আজ রোববার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে একথা বলেন।
 
পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে আজ সকালে মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয় । কমিশনার প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠ ও পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট মাঠে প্যারেড করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দেন। মাস্টার প্যারেডে ডিএমপি কমিশনার অভিবাদন গ্রহণ করেন। কমিশনার ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন করেন।
 
কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক  বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের জন্য অনেক কিছু করছেন। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বাহিনীকে অধুনিক ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচী নেয়া হয়েছে।  না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী পুলিশের জন্য অনেক কিছু দিচ্ছেন, এর প্রতিদান হিসেবে ২ কোটি নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সবাইকে একটি টিম হয়ে সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে হবে।’ প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়নি।  একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বুলেটটি ছোঁড়া হয় রাজারবাগের পুলিশের অস্ত্র থেকে। ওই প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন রাজারবাগের অনেক সাহসী বীর পুলিশ সদস্য। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ জীবন দিয়ে হলেও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে।
 
প্যারেডে ডিএমপি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনারগণ এবং বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও ফোর্সরা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK