উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : দেশে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। সিত্রাং দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে আঘাত হেনেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন ঘরের ওপর গাছ পড়ে। ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় শেষে মধ্যরাত থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। সকালের মধ্যে সবাই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিত্রাং নিয়ে পূর্বাভাস ছিল অনেক ক্ষতি হবে। কিন্তু আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে, এটি ঘূর্ণিঝড়ই ছিল, প্রবল বা সুপার সাইক্লোন হয়নি। আমাদের যে ধারণা ছিল, তারও আগে এটি বাংলাদেশ পার হয়।
অন্যদিকে আমাদের প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য মতে এখন পর্যন্ত সিত্রাংয়ে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।এর মধ্যে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে প্রাণ গেছে এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর। সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীতে ট্রলার ডুবে মারা গেছেন এক শ্রমিক। ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে মারা গেছেন চারজন। গাছ ভেঙে পড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুজন এবং নড়াইলের লোহাগড়া ও বরগুনা সদর উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া ঝড়ের সময় ঢাকার হাজারীবাগেও দেয়ালধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যুর খবর দিয়েছে পুলিশ।
উত্তরণবার্তা/এসএ