শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৭:০৩
ব্রেকিং নিউজ
বাফার শিক্ষক সমিতির শোকাবহ আগস্ট উদযাপন

প্রাণ জুড়ানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন

প্রাণ জুড়ানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন

অনিন্দ্যি আরিফ দিব্য : উপচে পরা ভিড়। কেউ দাঁড়িয়ে। কেউবা বসে মঞ্চের মেঝের কাছে। তখন বিকাল ৫টা ছাড়িয়েছে ঘড়ির কাঁটা। এমন আয়োজন জাতীয় জাদুঘর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। শিল্পীদের সুর-মুর্ছনা-গায়কী, নৃত্য-ছন্দে মাতোয়ারা অভ্যাগতরা। অশ্রুঝরা আগস্ট মাসে এমন আয়োজনে নেই শুধু করতালি। বাকি সবটাই টুম্বুর এক উদযাপনে। ‘শোকাবহ আগস্ট’ শিরোনামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মন-প্রাণ জুড়ানো এমন অনুষ্ঠানের আয়োজক বাফা শিক্ষক সমিতি (বাশিস)। 
 
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী,  মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং এন সি সি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক সোহেলা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাফার সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (বাফা) সভাপতি গিটার গুরু হাসানুর রহমান বাচ্চু, বাফার অধ্যক্ষ বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী খাইরুজ্জামান কাইয়ুম, বাশিস সচিব সফিকুর রহমান সবুজ, কোষাধ্যাক্ষ কবির আহমেদ, বাফার সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান। সভাপতিত্ব করেছেন বাশিস চেয়ারম্যান এটিএম মোস্তফা। আলোচনার ফাঁক গলিয়ে ১২ আগস্ট তরুণ কণ্ঠশিল্পী রাসেলের মন্ত্রমুগ্ধকর সঞ্চালনায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে আবৃত্তিও ছিল বেশ উপভোগ্য। 
 
 
বাফার শিল্পীদের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচিত হয়েছিল অনুষ্ঠান। দুটি পর্বের আয়োজনের প্রথমেই উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাফার সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু। তিনি বলেন, ‘আগস্ট কালো ছায়ার মাস, করুণ সুরের মাস। এই মাসে আমরা এই প্রতিজ্ঞা করি শোককে আমরা শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার।’ স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সচিব সফিকুর রহমান সবুজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাফার অধ্যক্ষ খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম। তিনি ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহীদদের স্মরণ করে বলেছেন, ‘আমাদের দেশে শোক এখন অপশক্তিতে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়তে হলে আমাদের সকলকে এই অপশক্তিকে রুখতে হবে।’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সোহেলা হোসেন ছিলেন আগস্টের শোকবহ আয়োজনে নিজ পরিবারের শোকে মূহ্যমান। তিনি জানান, তার ছোট ভাই লাইফ সাপোর্টে আছেন। তারপরও তিনি কথা দিয়েছিলেন বলে অনুষ্ঠানে এসেছেন। প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদাণ করে এবং উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে।
  
 
সন্ধ্যা ৬ টায় শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমে লক্ষণ সেনের বেহালার সুর আর সোহানুর রহমান বাচ্চু স্যারের হাওয়াইন গিটারে বেজে উঠে- ‘যদি রাত পোহালে শুনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’। এমন নান্দনিক পরিবেশনায় অনেকের চোখ ভিজে উঠে। এরপর রাশেদুল হাসান জীবনের পরিচালনায় এক অসাধারণ তবলার ছন্দময় লহরায় আপ্লুত হয়ে উঠুন অতিথীরা। অধ্যক্ষ খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম বাফার শিল্পীদের নিয়ে প্রথমে পরিবেশনা করেছেন— ‘আগুনের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রাণে’, এরপর গানের সাথে নাচও পরিবেশন করেছে বাফার নাচিয়েরা— ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’ । বঙ্গবন্ধুকে নমিত শ্রদ্ধা জানাতে প্রদিপ সরকারের পরিবেশনায়— ‘জাগো নারী’সহ বেশ কিছু পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।  
উত্তরণ/আসো

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK