শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০১:২৬
ব্রেকিং নিউজ

শেখ কামাল ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন : আলোচনা সভায় বক্তারা

শেখ কামাল ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন : আলোচনা সভায় বক্তারা

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ছয় দফা, এগারো দফা আন্দোলন ও ৬৯-এর অগ্নিঝরা গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সেসব আন্দোলনে শেখ কামালের উপস্থিতি আজো আমাদের মাঝে উৎসাহব্যঞ্জক।
 
জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে পৃথক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও সরকারি কোন পদ পদবি ও ক্ষমতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল না। শেখ কামাল স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্রীড়াঙ্গনে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বের বড়-বড় দলকে পরাজিত করায় আজ বিশেষ করে মনে পড়ছে শহীদ শেখ কামালের অসাধারণ গুণাবলীর কথা। এমন গুণাবলীর কারণেই এতো বছর পরও তিনি আমাদের মাঝে চিরঞ্জীব-চিরভাস্বর হয়ে আছেন। 
 
তিনি তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ শেখ কামালের জীবন থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। এখনো আমাদের তরুণ সমাজের কাছে তাঁর জীবন ও কর্মসম্পর্কে অনেক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ বাকী রয়েছে। এই দেশকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় নতুন প্রজন্ম সেদিকে মনোনিবেশ করে নিজেকে গড়ে তোলা উচিৎ বলে মনে করি। তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমরা তাঁকে হারিয়েছি। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে জাতির পিতার স্বপ্ন বহু আগে বাস্তবায়িত হতো। মেয়র শেখ কামালসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
 
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, সাহেদ ইকবাল বাবু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগীর, নুর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমা, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু প্রমুখ। 
 
মিলাদ ও আলোচনাশেষে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, কাউন্সিলরগণ ও কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের সাথে নিয়ে সিটি কর্পোরেশন চত্বরে স্থাপিত শহীদ ক্যপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মিলাদ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন সিটি কর্পোরেশনের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী। এদিকে, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম। সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমএ সালাম বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একাধারে একজন ছাত্রনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়। স্বাধীনতার পর তিনি আবহানী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের ফুটবল, ক্রিকেট ও হকিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে ব্যাপক অবদান রাখেন। স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠীরও তিনি ছিলেন প্রধান সংগঠক। দুর্ভাগ্যবশত ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের সেই কালো রাত্রিতে তিনি ছিলেন দুর্বৃত্তদের প্রথম শিকার।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য শেখ গোলাম মোস্তফাসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। আলোচনা সভাশেষে শেখ কামালের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আবু সাঈদ নুরী।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ