শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০০:৪৩
ব্রেকিং নিউজ

ক্যামব্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব এভিয়েশনের কনভোকেশন অনুষ্ঠিত

ক্যামব্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব এভিয়েশনের কনভোকেশন অনুষ্ঠিত

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : সেই সকাল ১০টা থেকেই চলছিল ব্যাপক আয়োজনের ব্যাপক প্রস্তুতি। কখনো বিউগলে সুর তুলে; কখনো বুটের তালে তারল হাকডাক দিয়ে; কখনোবা হাতে তালি দিয়ে। অনুষ্ঠান মঞ্চে-অডিটোরিয়াম সমাবর্তনের পোশাক পড়া শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি। আয়োজনটা যেন যারপরনাই আনন্দ-উৎসবের ঘেরাপোটে উদ্ভাসিত। বাইরে নাচিয়েদের কালারফুল শাড়ি-পোশাকের মহড়া। এর সবটাই ছিল ক্যামব্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড এভিয়েশনের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সমাবর্তনের আগাম মহড়া। অথচ আয়োজনের শুরুটা কিন্তু সেই দেড়টা গড়িয়ে পৌনে দুইটায়। এই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার মধ্যে ছিল ক্লান্তিহীন আবহ। গত ২ জুলাই শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘর কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেনÑ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। 
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য রাজনতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম এমপি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সচিব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার পিএমজেএফ, আবদুল্লাহ আল মামুন, (পিয়ারসন এডএক্সেল) প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যামব্রিয়ান ইন্টারনেশন্যাল কলেজ অব এভিয়েশন হেড অব সেন্টার ক্যাপ্টেন সিফাত মো. রাফসান জানি।
 
 
জামজমকপূর্ণ আয়োজনে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা বিভিন্ন বিষয়ে লেখাপড়া করে নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছ। শিক্ষার নামে শুধু শাস্ত্রই; জ্ঞান অর্জন নয়। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মনের জানালা খুলে দেওয়া, মনকে বিকশিত আর উম্মুক্ত করা। সেই সঙ্গে নিজের পরিবারের, সমাজের এবং দেশের জন্য সাধ্যমতো ভূমিকা রাখা।’ তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষা যেন মেধা এবং দেশপ্রেমের মূলমন্ত্র হয়। এটাই তোমাদের কাছে আমার প্রত্যাশা। আমি তোমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং পেশাগত জীবনে তোমাদের সফল সাফল্য প্রত্যাশা করছি।’
 
অনুষ্ঠানের চেয়ারপারসন লায়ন এম কে বাশার বলেন, ‘আজকের দিনটি তোমাদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। একই সাথে এটি একটি আনন্দেরও দিন। আমি সৌভাগ্যবান যে তোমাদের সাথে এই আনন্দের দিন উপভোগ করতে পারছি। আমি নিশ্চিত যে, তোমরা একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজ, জাতি, দেশ কিংবা পৃথিবীর জন্য ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম বলেন, ‘আমি শুধু একটা বিষয় আলাদাভাবে মনে করিয়ে দিতে চাই। তোমরা প্রযুক্তিকে ব্যবহার করবে, কিন্তু প্রযুক্তি যেন কখনোই তোমাদের ব্যবহার করতে না পারে। মনে রেখো এই সব আধুনিক প্রযুক্তি কিন্তু পরজীবী প্রাণীর মত, সেগুলো তোমার পুষ্টি খেয়ে বেঁচে থাকে।’
 
 
স্বাগত বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ক্যাপটেন সিফাত মো. রাফসান জানি বলেন, ‘সমাবর্তন মানে-এক সাথে মিলিত হওয়া কিংবা বিদায়ের বেদনার মুহূর্ত। অন্যভাবে বলা যায়, সমাবর্তন মানে শিক্ষা জীবনের অর্জনের স্বীকৃতি প্রাপ্তির দিন। আমিও তোমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য প্রত্যাশা করছি।’
 
অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান এবং সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। ফটো সেশনের পর কামব্রিয়ানদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দেশকন্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ