মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
ঢাকা সময়: ১৫:৫৯

টিকিট ছাড়া মেট্রোরেলে ভ্রমণের সুযোগ নেই

টিকিট ছাড়া মেট্রোরেলে ভ্রমণের সুযোগ নেই

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : দাম যাই হোক, টিকিট ছাড়া ট্রেনে চড়ার সুযোগ নেই। নির্ধারিত গন্তব্যের বেশি ভ্রমণ করলে দিতে হবে বাড়তি ভাড়া। এমনই প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেট্রোরেলের টিকেটিং সিস্টেম। চূড়ান্ত না হলেও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেট্রোরেলের টিকিটের দাম নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। বলা হচ্ছে, সর্বনিম্ন ২০ টাকায় ভ্রমণ করা যাবে সর্বোচ্চ দুটি স্টেশন। উত্তরা থেকে ১৬টি স্টেশনের প্রথম তিনটি বাদ দিয়ে প্রতি স্টেশনে ভাড়া বাড়বে ৫ থেকে ১০ টাকা করে। সে হিসেবে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া দাঁড়াবে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও চলছে নানা বিচার-বিশ্লেষণ। এ বিষয়ে একজন পথচারী বলেন, “আমাদের জন্য যত কম ভাড়া হয় ততই ভালো।”একই সময় অন্য একজন বলেন, “এমন করে ভাড়াটা নির্ধারণ করতে হবে যে আমাদের দেশের সকল স্তরের মানুষ এটাতে করে ভ্রমণ করতে পারে।” তবে, কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, প্রজ্ঞাপনের আগে চূড়ান্ত নয় কিছুই। পরিচালনা খরচ আর মানুষের সাধ্য দুই প্রাধান্য পাচ্ছে টিকিটের দাম নির্ধারণে। 
 
ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, “এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য যাওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছে।” স্টেশনগুলোতে থাকছে পেইড আর নন পেইড আলাদা জোন। র‌্যাপিড পাস বা টিকিট কার্ড পাঞ্চ করে পেইড জোন হয়ে ট্রেনে ওঠার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। আজীবন ভ্রমণে স্থায়ী আর স্বল্প বা এককালীন ভ্রমণে থাকছে অস্থায়ী পাস। স্থায়ী পাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা রিচার্জ করা যাবে। দু' ধরনের পাসই ইস্যু হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে। এম এ এন ছিদ্দিক আরও বলেন, “যাওয়ার সময় মেশিন কার্ডটাকে রেখে দিবে। আর যেটা আপনে সারাজীবনের জন্য করলেন মেশিন থেকে সেটা বের হয়ে আসবে। অথবা আপনি যদি মেশিনের উপর ট্যাচ করেন, তাহালে আপনার কার্ড আপনি নিয়ে যাইতে পারবেন।”
 
কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্রমণের তথ্য জমা আর বিশ্লেষণ হওয়ায় কার্ড পাঞ্চ ছাড়া ভেতরে যাওয়া বা বের হবারও সুযোগ নেই।কেউ আগারগাঁও পর্যন্ত টিকিট কেটে চলে গেলেন মতিঝিল, তার জন্য কোন গেটই খুলবে না। এখন এটার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। আপনার কাছে যদি অর্থ থাকে তাহালে পেমেন্টটা দিয়ে দিতে হবে। আর অর্থ না থাকলে বন্ধুকে ফোন দিয়ে টাকা এনে পরিশোধ করতে হবে। এমনটাই জানান ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে বিক্রয়কর্মী যেমন থাকবেন, তেমনি ভেন্ডিং মেশিনে চাহিদামতো টিকিট বা কার্ড সংগ্রহের সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। 
উত্তরণবার্তা/এআর
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ

কোরআনের ভালোবাসা

 ১৯ মার্চ, ২০২৪