মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
ঢাকা সময়: ১৩:১৩
ব্রেকিং নিউজ

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্লাবিত অঞ্চলে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। সুরমা, কুশিয়ারা, ধলাই, পিয়াইনসহ নদনদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে, এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আজ সকাল ৬ থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। সিলেট পয়েন্টে কমেছে ১০ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ পয়েন্টে কমেছে ১ সেন্টিমিটার, ছাতকে কমেছে ৩ সেন্টিমিটার। এই নদীতে সবগুলো পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
কুশিয়ারা নদীর দুটি পয়েন্টে কমলেও দুটি পয়েন্টে পানি বাড়ছে। অমলশিদ পয়েন্টে ৭ সেন্টি মিটার, শেওলা পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার ও শেরপুরে বেড়েছে ৪ সেন্টিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে তিনদিন সিলেটে বৃষ্টি কমবে। উজানে বৃষ্টি কমায় সিলেটে পানি কমতে শুরু করেছে। আগামীকাল আরও উন্নতি হতে পারে।
 
এদিকে, নগরে প্রবেশ করা পানি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। এতে নগরবাসীর ভোগান্তি কমছে। নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন থাকা বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়েছে। এতে একসপ্তাহ পানিবন্দি থাকা মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এসএম শাহরিয়ার। বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইনসহ জরুরি ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
 
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, দিন দিন আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে। সিলেটে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। আজ ও কাল বৃষ্টি আছে। তবে, সোমবার থেকে সিলেটের তাপমাত্রা বাড়বে এবং বৃষ্টি কমবে। বৃষ্টি কমলে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। এদিকে, ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, আজ পর্যন্ত জেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ৩২৫ টন চাল, ৫ হাজার ৬০৫ টন শুকনো খবার দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই শুকনো খাবারের প্যাকেটে রাখা হয়েছে ১০ কেজি উন্নতমানের মিনিকেট চাল, ১ কেজি দেশীয় মুগডাল, ১ কেজি লবন, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১০০ গ্রাম মরিচ, ২০০ গ্রাম হলুদ,  ২০০ গ্রাম ধনিয়া এবং এক কেজি চিনি। এছাড়া নগদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 
 
সুনামগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলার ছাতক উপজেলা বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দোয়ারাবাজার, সদর, জগন্নাথপুর, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। জেলায় আজ পর্যন্ত ১৬৫ মেট্রিক টন চাল, চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 
 
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ