শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১২:৪৯
ব্রেকিং নিউজ

বিএনপি কেন ব্যর্থ

বিএনপি কেন ব্যর্থ

স্বদেশ রায়

 
রাজনৈতিক দল হিসেবে ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে আছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বিএনপির জন্মের পর থেকে এত দীর্ঘদিন কখনও ক্ষমতার বাইরে থাকেনি। এই ক্ষমতার বাইরে থাকাকালে ১/১১-এর পরে তাদের দলের নেতা খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ব্যক্তিগত পর্যায়ে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করা ও ২০০৮-এর নির্বাচন- এ দুটো ছাড়া রাজনীতির সঙ্গে তাদের একাত্ম হওয়ার কোনো ভূমিকা নেই।
যেমনÑ ২০০৯-এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়। এই বিচারের বিরোধিতা জামাত তাদের স্বার্থেই করবে বা করেছিল। তবে বিএনপি দলগতভাবে জামাতের মতো যুদ্ধাপরাধী নয়। তাদের দলে যুদ্ধাপরাধী ছিল। তারপরেও জামাতের স্বার্থে বিএনপির যুদ্ধাপরাধীকে সমর্থন করার কোনো কারণ ছিল না। যেহেতু বিএনপিতে অনেকে আসে, অনেকে চলে যায়। এটা জামাতের মতো কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রবণ দল নয়। বিএনপি শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে গঠিত একটি দল। তাছাড়া তারা তো এটাও জানে, দলগতভাবে জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করে তার রাজনীতি করার অধিকারকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব। বিচার বিভাগের কাছে সেই রায় আশা করা যায়। সংবিধানের মৌলচেতনাও সে-কথা বলে। কিন্তু বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগও সেটা দরকার মনে করে না।
বরং একটু নিকট অতীতে গিয়ে বলা যায়, বিএনপির জন্য ১৯৯১ সালের পর থেকে যা দরকার ছিলÑ তাহলো সামরিক লিগ্যাসি থেকে বের হয়ে এসে একটি কনজারভেটিভ পার্টি বা সেন্টার রাইট ডেমোক্রেটিক পার্টি হওয়া। যে সুযোগ যে কোনো কারণে হোক ১৯৯১ সালে বিএনপি পেয়েছিল। কিন্তু বিএনপি সে সুযোগ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। বিএনপি যদি সে সুযোগ গ্রহণ করত। তারা যদি সেদিন জামাতের সমর্থন না নিত, তাহলে হয়তো অটল বিহারি বাজপেয়ীর প্রথম সরকারের মতো পার্লামেন্টে নো কনফিডেন্স মুভে বিএনপি হেরে গিয়ে ক্ষমতা হারাত। তবে তারপরও অটল বিহারি বাজপেয়ীর মতো বিএনপিরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চালিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় আসার সুযোগ ছিল। তথাকথিত ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী (ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ হয় না, বিষয়টি অবাস্তব, তাই ‘তথাকথিত’ লিখলাম) দল হয়েও বিএনপির সেদিন যুদ্ধাপরাধীদের লিগ্যাসি ও মিলিটারি লিগ্যাসি থেকে বের হয়ে এসে তথাকথিত ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী না হয়ে দেশভিত্তিক জাতীয়তাবাদী হিসেবে সেন্টার রাইট একটি রাজনৈতিক দল হওয়ার সুযোগ ছিল। আর ওই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চালিয়ে বিএনপি যদি ভালো নির্বাচন করত, তাহলে বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গড়ার কোনো প্রশ্ন উঠত না। দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগুতো। এমন কী জাতীয় পার্টি বা এরশাদ পুনর্বাসিত হলেও তাকে আরও বেশি সামরিক লিগ্যাসি ছাড়তে হতো। ধর্মভিত্তিকের বিপরীতে দেশভিত্তিক হতে হতো। দেশে তথাকথিত ধর্মীয় উন্মাদনার রাজনীতির ঢেউ ওঠার সুযোগ কমে যেত। তখন আওয়ামী লীগের আদর্শগত যুদ্ধটা হতো ভিন্নভাবে। তাকে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের মোড়কে বা ধর্মকে তোষণ করে যুদ্ধ করতে হতো না। সে-সময়ে যুদ্ধটা হতো বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির বাঙালি জাতীয়তাবাদ বনাম বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দেশভিত্তিক জাতীয়তাবাদের সঙ্গে। ধারণাগতও জাতীয় ঐতিহ্যগতভাবে বা কনচেপচুয়ালি জাতীয়তাবাদ হিসেবে সেখানে আওয়ামী লীগের বাঙালি জাতীয়তাবাদই এগিয়ে থাকত। ভোটের রাজনীতি ও মানুষকে বোঝানোর ক্ষেত্রে কে এগিয়ে যেতÑ তা পরের বিষয়।
বিএনপি ১৯৯১-তে তা না করে বরং তারা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে সরকার গঠন করল। এবং নিজেদের ক্ষমতাকালীন নির্বাচনগুলোকে অপরিচ্ছন্ন করল। যাতে একদিকে জামাতের কারণে দেশে তথাকথিত ধর্মীয়ভিত্তিক রাজনীতির উত্থান ঘটতে থাকল, অন্যদিকে আবার তত্ত্বাবধায়ক রাজনীতির দাবি ফিরে এলো। এই তত্ত্বাবধায়ক দাবির আন্দোলনের কাছে বিএনপি হেরে গেল। যার ফলে ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলো। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিল এরশাদের সমর্থনে। বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরেও ১০০-র ওপরে আসন পেয়েছিল। বাদ বাকি অধিকাংশ জায়গায় তারা দ্বিতীয় এবং কম স্থানে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। এমন একটা অবস্থায় যে কোনো রাজনৈতিক দলের নিজের ক্ষমতা বোঝা উচিত। তার সঠিক পথটি নির্ধারণ করা উচিত। আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সব সময়ই বিএনপিকে বেশি ডানের দিকে ঠেলে দেবে, বেশি ধর্মীয় উগ্রবাদী রাজনীতির দিকে ঠেলে দেবেÑ এটাই স্বাভাবিক। এ কৌশল পৃথিবীর যে কোনো মধ্যপন্থি উদার গণতান্ত্রিক দল নেয়। কারণ, যদি প্রতিপক্ষকে বেশি উগ্রতার দিকে ঠেলে দেওয়া যায়, তাহলে দেশে জোটের রাজনীতি এলে উদার বাম গণতান্ত্রিক দলগুলো কোনোমতেই ওই পক্ষে যেতে পারে না। বরং এই মধ্যপন্থি গণতান্ত্রিক দলটি তাদের ন্যাচারাল্যালি হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়। তাছাড়া দেশের উদার জনমতই মূলত মূল জনমত বা সম্মানীয় জনমতÑ সেটির সবটুকু এই মধ্যপন্থি দলটি পায়। আর সেন্টার রাইট দলটি কট্টরপন্থি হয়ে যাওয়াতে তাকে সমর্থন করা সমাজে সম্মানের কাজ হিসেবে বিবেচিত হয় না। এর বিপরীতে বিএনপির উচিত ছিল তার নিজেকে ব্রিটেনের কনসারভেটিভ পার্টি বা আমেরিকার রিপাবলিকানদের মতো সম্মানিত পার্টি হওয়া, সে সুযোগ তারা ’৯১-তে পেয়েও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ও নেতৃত্বজ্ঞানের অভাবে নিতে পারেনি।
বিএনপিতে মুসলিম লীগ ও মুসলিম লীগ পরিবারের লোকজন এবং ভাসানী ন্যাপের অনেক অভিজ্ঞ রাজনীতিক ছিলেন। কিন্তু সত্য বিষয় হলো, মুসলিম লীগও ভাসানী ন্যাপ কখনও ভোটের বা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অভিজ্ঞ দল নয়। তাছাড়া কংগ্রেস বা অনান্য দলের মতো মুসলিম লীগ সামাজিক সম্মান অর্জন করতে পারেনি ভারতের রাজনীতিতে। তারা সাম্প্রদায়িক দল হিসেবেই চিহ্নিত ছিল। তাদের নেতারা বিএনপিতে যোগ দিয়ে ঠিক একই ভুল করে। অন্যদিকে ভাসানী ন্যাপের নেতারা মূলত উগ্র ও বিভ্রান্ত বাম। তারা সমাজ ও রাজনীতি ওই অর্থে বোঝে না। ভাসানী ন্যাপের ভোটের রাজনীতির ঐতিহ্য নেই। আর ১৯৪৬-এ মুসলিম লীগ যে শুধু পূর্ব বাংলায় জিতেছিল তা কিন্তু তাদের রাজনীতি ও সাংগঠনিক শক্তির জোরে নয়। মানুষ মনে করেছিল পাকিস্তান মনে হয় একটা পাকা আঙুর, পাকিস্তান হলেই সেটা গালে টুপ করে ছিঁড়ে পড়বে। তাই তারা পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। এ-কারণেই মানুষের মোহভঙ্গ হতে সময় লাগেনি। কারণ, আঙুরটিকে পাকিস্তান হলে আর দেখা যায়নি। তাই মূলত মোহভঙ্গ ঘটেছিল ’৪৮-এর মধ্যেই। তারপরে আর মুসলিম লীগ কোনো নির্বাচনে জেতেনি। ভাসানী ন্যাপের নির্বাচনের কোনো ঐতিহ্য নেই আগেই বলেছি। এ দুইয়ের বাইরে বিএনপিতে আর যারা, তারা ব্যবসায়ী ও সুযোগ সন্ধানী ও উগ্র বাম ও ডান। তাই তারা বিএনপিকে ১৯৯৬-এর পরেও সঠিক নির্বাচনের পথে নিয়ে যায়নি। তার যে ন্যাচারাল স্পেসটা বাংলাদেশের রাজনীতিতেÑ অর্থাৎ সেন্টার রাইট বা মধ্য ডানপন্থি সেটা সে গ্রহণ করতে পারেনি। বরং মধ্য বামপন্থি হয়েও ইতোমধ্যে অনেকখানি আওয়ামী লীগ নিয়ে নিয়েছে এ অবস্থান। সঠিক হোক আর ভিন্নমত থাকুক, শেখ হাসিনার রাজনীতির এটাও একটা বড় কৌশল। অর্থাৎ ক্ষমতার রাজনীতিকে তিনি মাঠের রাজনীতির সঙ্গে পার্থক্য করে নিয়েও একসঙ্গে এগুচ্ছেন। এর শেষ কোথায় সে আলোচনা এ নিবন্ধের বিষয় নয়।
যা হোক, শেখ হাসিনা সেন্টার রাইট রাজনীতির ভাগ নিয়ে নেওয়াতে এখন বিএনপিকে তার সমর্থিত ধর্মীয় গ্রুপকে আরও উগ্র হতে সাহায্য করতে হচ্ছে। যেমনÑ এখন ধর্মীয় উগ্রগোষ্ঠী দেশে ভাস্কর্য ভাঙছে। শেখ হাসিনা ভোটের রাজনীতির স্বার্থে হলেও এই ভাস্কর্য ভাঙার কাজে যারা জড়িত এদের সঙ্গে যেতে পারবে না। অন্যদিকে বিএনপি যদি এদের বাদ দেয় তাহলে বিএনপির শক্তি কমে যাবে বলেই বর্তমানের বিএনপি মনে করে। তাই তারা দলে এমন একটা স্পেস খুলে রেখেছে, যাতে এরা সেখানে অবস্থান নিতে পারে।
এর পরে আসে গত ১৩ বছরে বিএনপির আন্দোলনে ব্যর্থতার কথা। ব্যক্তিগতভাবে মওলানা ভাসানী আন্দোলন সংগঠিত করার সব ধরনের ক্ষমতা রাখতেন। কিন্তু তার অনুসারী যাদু মিয়া থেকে শুরু করে কাজী জাফর কারোই আন্দোলন সংগঠিত করার কোনো ক্ষমতা ছিল না। আর মুসলিম লীগ থেকে আসা নেতাদের ক্ষেত্রে তো প্রশ্নই ওঠে না। অন্যদিকে বিএনপির ছাত্র আন্দোলনের অভিজ্ঞতা কম। এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা পর্যায়ে রিজভীর কিছু কর্মকা- ছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওইভাবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কোনো আন্দোলনের ঐতিহ্য নেই। বেগম জিয়ার এক ধরনের জনপ্রিয়তা, এরশাদ প্রশাসনের সহায়তায় ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অনৈক্যর কারণে সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী প্যানেল ডাকসু’তে জিতেছিল। কিন্তু বাস্তবে তাদের এরশাদ-বিরোধী সংগ্রামে ওই ধরনের কোনো ভূমিকা ছিল না। বরং বেগম জিয়া নিজে হস্তক্ষেপ না করলে আমানউল্লাহ আমান সেদিন অভিদের মতো জাতীয় পার্টিতেই চলে যেত।
এ কারণে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ও মূল রাজনৈতিক দল কারও কোনো আন্দোলনের অভিজ্ঞতাও যেমন নেই, তেমনি এটা তাদের স্বভাবজাত নয়। তারা যে বলছে পুলিশে তাদের নামতে দেয় না মাঠে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এত বেশি মামলা দিয়েছে যে তারা সেই মামলা নিয়েই ব্যতিবস্ত থাকছে। এ কারণে আন্দোলন করতে পারছে না।
এ যুক্তি তারা মিডিয়াতে বারবার বলছে, সাধারণ মানুষের কাছেও বলছে। কিন্তু বাংলাদেশে ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস যাদের চোখের সামনে ঘটেছে তারা এটা কেউ বিশ্বাস করে না। আর সত্যি অর্থে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এর থেকে অনেক বেশি মামলা ছিল। সেদিন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ সবারই অনেকগুলো সারির নেতার গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তখন দেখা গেছে, এক সারির নেতা গ্রেফতার করেছে তো নিচের থেকে আরেক সারি দাঁড়িয়ে গেছে। এবং বড় আকারে না পারলেও কমান্ডো কায়দায় তারা আন্দোলন চালিয়েছে। আর তখন আওয়ামী লীগের আন্দোলন ছিল সামরিক সরকার উৎখাতের আন্দোলন। এখন বিএনপির আন্দোলন মূল লক্ষ্য হবে, সঠিক নির্বাচন আদায় করা ও বর্তমান সরকারকে অজনপ্রিয় করে গড়ে তোলা মানুষের কাছে।
বর্তমান সরকারকে অজনপ্রিয় করতে হলে বিএনপির প্রথম যে বিষয়টি দরকার তা হলো, এমন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া যাতে তারা দেখাতে পারবে এই সরকারের কোথায় কোথায় ব্যর্থতা আছে। তারা জনগণের জন্য কী ভুল করছে বা ক্ষতি করছে। এবং এর বিপরীতে তাদের ব্যাখ্যা দিয়ে বিশদভাবে কর্মসূচি দিতে হবে যে তারা এই এই পথে, এই এই ভালো কাজ করবে। পাশাপাশি তাদের যে দুঃশাসন ও হাওয়া ভবনের রেকর্ড আছে সেগুলোর জন্য শুধু ক্ষমা নয়, তা যে ভবিষ্যতে আর কেন ঘটবে না তার সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখাসহ তাদের জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিএনপি গত ১৩ বছরে এক লাইনের কোনো একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে পারেনি। যা ৪০ বছরের বেশি বয়সের একটি দলের জন্য শুধু ব্যর্থতা নয়, তারা প্রকৃত রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে যে পারেনি তারও প্রমাণ।
আর রাজনীতিতে এটা চরম সত্য, সব দেশের রাজনীতি লক্ষ করলে বিএনপি দেখতে পাবে, ভোটের জন্য হোক, আর আন্দোলনের জন্য হোকÑ প্রথমে দরকার রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি। সেটা যখন মানুষ গ্রহণ করবে তখনই তো আন্দোলনের ও রাজনৈতিক সফলতার প্রশ্ন উঠবে। এর আগে কোনোমতেই তো এ প্রশ্ন আসে না। এই রাজনৈতিক দীনতাই বিএনপির মূল ব্যর্থতা। এ কারণেই বিএনপি ব্যর্থ হচ্ছে।
 
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপত্র 
উত্তরণ
এপ্রিল সংখ্যা পড়তে ক্লিক করুন
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK