মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৭:০৭

মাগুরায় বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক

মাগুরায় বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক :  মাগুরা জেলায় ৩৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।  কৃষকরা এখন পুরোদমে ব্যস্ত বোরো ধান চাষে । আবহওয়া অনুকূল  থাকলে ভালো ফলনের আশা করেছেন তারা। এতে সম্ভব্য ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৩৩ মেট্রিক টন চালের উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানান গেছে, জেলার চার উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ১০৫ হেক্টর ,শ্রীপরে ১ হাজার ৩২০ হেক্টর, শালিখায় ১২ হাজার ৩৩০ হেক্টর এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে রোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করেছে জেলা কৃষি বিভাগ।  জেলার বিভিন্ন মাঠে বোরো ধানের চাষের জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণ কজা পুরোদমে চলছে। ইতিমধ্যে জেলায় ২৭ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে বোরা ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা ।
   
চলতি মৌসুমে জেলায় হাইব্রীড এস এল ৮ এইচ, এ্যারাইজ তেজ, সিনজেনটা ১২০১, এ্যাগ্রো ১২ এরং উফসি ব্রী ৫০, ৫৮, ৬৩, ৮১, ৮৪ ও ৮৮ জাতের ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সাথে আলোচনা সহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া লাইনে ধানের চারা রোপন করার জন্য দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বোরো ধান চাষ সফল করতে লাইন সুইং পদ্ধতিসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানের চারা রোপন ও করলে ধানের ফলন ভালো হয়। সেই সাথে পোকামাকড় দমনের জন্য পারচিং পদ্ধতি ব্যবহার করার পরমর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। এ ছাড়াও স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে ধান চাষে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
   
সদরের মঘী গ্রামের কৃষক আলাউদ্দীন জানান, এ মৌসুমে তিনি ৪ বিঘা জমিতে হাইব্রিড-১২০১ জাতের ধানের চাষ করছে। বিঘা প্রতি তিনি ৪০-৪৫ মণ ফলন আশা করছেন। সদর উপজেলার কাপাসহাটি গ্রামের রশিদ মোল্যা জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩ বিঘা জমিতে এ্যাগ্রো-১২ জাতের ধান চাষ করেছে। বিঘা প্রতি ৪০-৪৫ মন ফলনের আশা করছেন তিনি। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বোরো ধান চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষনিক সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে এ মৌসুমেও ধানের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK