উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে অন্য কোথাও হত্যা করা হতে পারে। পরে তার লাশ গুম করার জন্য দুটি ছালার বস্তায় ভরে কেরানীগঞ্জের আলিপুর ব্রিজের কাছে দুর্বৃত্তরা ফেলে রেখে যায়। এদিকে, শিমুর ভাই শরিফুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, শিমুর বড় ভাই শরিফুল ইসলাম এ ঘটনায় থানায় বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে আসামি করা হয়েছে তার স্বামীকে। তবে তার সঙ্গে কোনো ধরনের কারো শত্রুতা ছিল না বলে তিনি পুলিশকে নিশ্চিত করেছেন। শিমুর বোন ফাতেমা গণমাধ্যমকে বলেন, স্বামী, সন্তানকে নিয়ে শিমু গ্রিন রোডের একটি বাসায় থাকতেন। রোববার সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর আর তার কোন খোঁজ ছিল না। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাকে কোথাও পাচ্ছিল না। পরে পুলিশ মারফত কেরানীগঞ্জে লাশের সন্ধান পায়।
এদিকে, শিমু হত্যাকাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার এসপি মারুফ হোসেন সরদারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে হত্যার কারণ, হত্যাকাণ্ডে কারা কারা জড়িত, তদন্তে কি কি পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত তুলে ধরবে পুলিশ। উল্লেখ্য, সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ আলিপুর ব্রিজের কাছে দুটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে নাম পরিচয় নিশ্চিত হতে কাজ করে পুলিশ। এরপরই জানা যায় বস্তার ভেতরে থাকা নারী চলচ্চিত্রের একজন নায়িকা।
উত্তরণবার্তা/এসএ