শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৪:১৫
ব্রেকিং নিউজ

জোড়া ট্রফি জয়ে মিলন মেলা

জোড়া ট্রফি জয়ে মিলন মেলা

 
 উত্তরণবার্তা ডেস্ক  : শেষ বার কবে আবাহনী এমন মিলন মেলার আয়োজন করেছিল। স্মরণে এলো না। তবে করোনায় কখন কী হয় তার একটা আশঙ্কা কাজী নাবিলের মনে ঘোরাঘুরি করছিল। আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত ডাইরেক্টর ইনচার্জ। একসঙ্গে দুটি ট্রফি জয়ের আনন্দ উদযাপনের কাজটা সেরে ফেলল আকাশী নীলের জার্সির আবাহনী। স্বাধীনতা কাপ ফুটবল এবং ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় খেলোয়াড়দের ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ২২ দিনের ব্যবধানে দুটি ট্রফি আবাহনীর ফুটবলারদের বাড়তি প্রেরণা দেবে। আর ট্রফি উদযাপনের অনুষ্ঠানটির আরেকটি উপলক্ষ্য হচ্ছে, আবাহনীর সংশ্লিষ্টরা অনেক দিন একসঙ্গে এক ছাদের নিচে জড়ো হওয়ার সুযোগ পাচ্ছিল না। খেলোয়াড়রা জোড়া ট্রফি এনে দেওয়ায় সেই সুযোগটা সামনে দাঁড়ায়। সময়টা কাজে লাগাতেই নাবিলের ত্বরিত সিদ্ধান্ত। সময় স্বল্পতার মধ্যেও সুন্দর উদ্যোগ ভালো লেগেছে পুরোনোদের।
 
আবাহনীর প্রতিষ্ঠালগ্নের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুব, সে সময়ের শাহাবুদ্দিন আহমদ সেন্টু, প্রথম ফুটবল সম্পাদক কে এন হক মন্টু, আশরাফ আলী, জালাল ইউনুস, জি এস হাসান তামিম, কাজী নাবিল, সাবেক ফুটবলার গাউস, আলমগীর, স্বপন, গাফফারসহ অনেকেই উপস্হিত ছিলেন। কাজী নাবিল বললেন, ‘দুই বছর কোনো অনুষ্ঠান হয় না। আবার কবে দেখা হয়। পুরোনোরা এসেছেন সবার সঙ্গে দেখা হলো। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল তার স্ত্রী সন্তান, কোচ লেমসের কোরিয়ান স্ত্রী সন্তান, ইরানি ফুটবলার মিলাদ শেখে ও তার ইরানি স্ত্রী ছিলেন। বড় একটা কেকের ওপরে চ্যাম্পিয়ন দলের ছবি আঁকা হয়েছিল ক্রিম দিয়ে। কেক কাটা হয়, খেলোয়াড়দের হাতে বোনাস দেওয়া হয়। গতকাল ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাবের উলটো দিকের একটি ভবনের ১১ তলায় এই আয়োজন।
 
স্বাগত বক্তব্যে ফুটবল ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপু তুলে আনেন দল গঠনের পেছনের কিছু গল্প। কতটা কঠিন ছিল এবারের দল গঠনের কাহিনী। আবাহনীর মধ্যে এমন মানুষ আছে তাদের উদ্দেশে রূপু বললেন, ‘আবাহনী হারলে অনেকেই খুশি হয়। জিতলে হাততালি দিতে চায় না।’ কথা বলেন পতু‌র্গিজ কোচ মারিও লেমস। তিনি বলেন, ‘পিউর ফাইট হয়েছে এবার। যুদ্ধ করে আনতে হয়েছে ট্রফি।’ ইমন বাবু বললেন, ‘আবাহনীতে এসে মন খুলে কথা বলা যায়।’ স্ট্রাইকার জীবনকে ডাকা হলে তিনি ছোট ছোট কথা কাগজে লিখে আনেন।
 
ফুটবলার দানিয়েল কলিন্দ্রেসও লিখে নিয়ে মঞ্চে উঠে বললেন, ‘আসসালামুআইলাইকুম শুভ রাত্রি। এখানে আসতে পেরে আমি খুশি।’ বলেই নেমে গিয়ে খেলোয়াড়দের আসনে গিয়ে বসেন। কাজী নাবিল বললেন, ‘পরিকল্পনাতে ছিল ট্রফি যেন পাই। গত আড়াই বছর সাফল্য পাইনি। সেই সাফল্য এসেছে। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি সব খেলা নিয়েই আমরা আবাহনী।’খেলোয়াড়দের বললেন, ‘তোমরা গত তিন মাস পরিশ্রম করেছ। মনে রেখ, অন্য দলগুলো তোমাদের চেয়েও বেশি পরিশ্রম করবে। ট্রেবল জিততে হলে আরো বেশি কষ্ট করতে হবে।’ এর পর মধ্যাহ্নভোজ শেষে সবার হাতে আবাহনীর লোগো সংবলিত ব্যাগে রেপ্লিকা জার্সি, মগ, একটি কলম উপহার দেওয়া হয়। এসব আগে দেখা যায়নি। নতুন কিছু করতেই নানা উদ্যোগ।
উত্তরণবার্তা/এআর
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK