বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৬:১৭

এইচএসসির প্রথম দিন অনুপস্থিত ৪ ৫৯৩

এইচএসসির প্রথম দিন অনুপস্থিত ৪ ৫৯৩

উত্তরণবার্তা  প্রতিবেদক : এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। প্রথম দিন এ পরীক্ষায় সারা দেশে ৪ হাজার ৫৯৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অসদুপায় অবলম্বনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তিনজনকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ এ তথ্য জানায়। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি।

মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্রের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিলেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫০২ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৭ জন। অর্থাৎ ৪ হাজার ৫৮৫ জন অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি (১ হাজার ৭৯৯ জন) অনুপস্থিত ছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এ ছাড়া বিকেলে অনুষ্ঠিত অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় আটজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।

চলতি এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর। সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হতো। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর গত মাসে অনুষ্ঠিত হয়। আর আজ শুরু হলো এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এ বছর যেমন নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই দুই পরীক্ষা নিতে হচ্ছে, তাঁরা আশা করছেন, যেভাবে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করা গেছে, তাতে আগামী বছরের পরীক্ষা এত দেরিতে হবে না। তবে বছরের প্রথম ভাগে হয়তো পরীক্ষা হবে না, বছরের মাঝামাঝিতে হতে পারে।

এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাতে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাঁরাই গুজব ছড়াবেন কিংবা প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো অনৈতিকতার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দীপু মনি বলেন, যখন অবস্থা ভালো ছিল, অমিক্রনের কথা শোনা যায়নি, তখন নতুন বছরে (২০২২ সাল) ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। এই মুহূর্তে সে পরিকল্পনা স্থগিত আছে। অবস্থা কোন দিকে যায়, সেটি দেখতে হবে। কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শে এ বিষয়ে ভাবতে হবে, পরিকল্পনা নিতে হবে।

করোনা সংক্রমণ কমে আসায় দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত সেপ্টেম্বর থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে সব দিন সব শ্রেণির ক্লাস হয়নি। সপ্তাহে নির্ধারিত দিনে বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাস হয়েছে। অমিক্রনের কারণে প্রয়োজন হলে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো কোনো প্রস্তুতি আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা প্রার্থনা করি, আশা করি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধ করে দিতে হয়, এমন পরিস্থিতি যেন না হয়। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উত্তরণবার্তা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK