বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৭:৪২

ছেলের উপস্থিতিতে আজ এলিজাবেথকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে সরাবে বারবাডোজ

ছেলের উপস্থিতিতে আজ এলিজাবেথকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে সরাবে বারবাডোজ

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : আনুষ্ঠানিকভাবে আজ ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দিতে যাচ্ছে বারবাডোজ। ফলে দেশটিতে অবসান হতে যাচ্ছে প্রায় ৪শ বছরের ঔপনিবেশিকতার। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে মূল আয়োজন। এরই মধ্যে রাজধানী ব্রিজটাউনে পৌঁছেছেন রানির ছেলে প্রিন্স চার্লস। এই সিদ্ধান্তকে আত্মবিশ্বাসের প্রতীক বলছে বারবাডোজ।

নিজেদের স্বাধীন ঘোষণার ৫৫ বছর পর প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে বারবেডোজ। মুক্ত হচ্ছে প্রায় সব ঔপনিবেশিক বন্ধন থেকে। যার সূত্রপাত হয়েছিল ৪শ বছর আগে, ১৬২৫ সালে। যে বছর ইংরেজদের একটিমাত্র জাহাজ দ্বীপটির দখল নিয়েছিল। সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী, গভর্নর জেনারেলের মতো পদ রয়েছে। তা সত্ত্বেও, হেড অব স্টেট বা রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ছিল ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের নাম। সোমবার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে থাকা রানির নাম বাদ দেওয়ার মাধ্যমে তার চূড়ান্ত অবসান ঘটতে যাচ্ছে।

এলিজাবেথ এখনও বারবাডোজ এবং আরও ১৫টি দেশের রানি, এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জ্যামাইকাও আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রানির নাম ছেঁটে ফেলাকে বারবেডোজ দেখছে ঔপনিবেশিক ইতিহাসের দানবদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের উপায় হিসেবে। প্রায় ৪০০ বছর আগে ক্যারিবীয় দ্বীপটিতে ইংরেজদের প্রথম জাহাজ যাওয়ার পর থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে থাকা রানির নাম বাদ দেয়ার মাধ্যমে তার চূড়ান্ত অবসান ঘটতে যাচ্ছে।

বারবাডোজের সিনেটর রিভারেন্ড জন রোজার্স বলেন, শত শত বছর ধরে আমরা নিজেদের মতো করে জীবনধারণ করছি। আমাদের সন্তানরা এই দেশেই জন্ম নিয়েছে। তাদের সব অধিকার এখানে। এই দ্বীপের জনগণ কেবল স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করেনি, সংগ্রাম করেছে নিজেদেরকে ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদীদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বারবেডোজ তাদের হেড অব স্টেট থেকে রানিকে ছেঁটে ফেলার মধ্য দিয়ে অন্যান্য সাবেক ব্রিটিশ কলোনি দেশগুলোকেও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে উৎসাহ যোগাতে পারে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা ভাবছেন, এমন সিদ্ধান্তের ফলে ব্রিটেনে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের জন্য আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার কারও কারও মত, দেশের রাজনীতিতে বকি ঘটছে তা নিয়ে সাধারণ জনগণের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। কাল থেকে ডলারের মূল্য কেমন হবে সেটা নিয়েই বেশি চিন্তিত সবাই। তারা দ্রব্যমূল্য নিয়েই ভাবছেন এখন।
উত্তরণবার্তা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ