মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৪:১৩
ব্রেকিং নিউজ

আগামী বছর দেশে করোনার টিকা উৎপাদন শুরু হবে : সালমান এফ রহমান

আগামী বছর দেশে করোনার টিকা উৎপাদন শুরু হবে  :  সালমান এফ রহমান

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : আগামী বছর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘বেসরকারিভাবে ইনসেপ্টা ও বেক্সিমকো কাজ করলেও আরও কয়েকটি কোম্পানি টিকা উৎপাদন নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আন্তরিক। তিনিও চান দেশে টিকা উৎপাদন হোক। এজন্য যে কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে। এ অবস্থায় আমি বিশ্বাস করি, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশ টিকা উৎপাদন শুরু হবে।’ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

টিকা উৎপাদন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আরও বলেন, বেসরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানি ইনসেপ্টা চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে। চীন যে বিশেষ ধরনের টিকা তৈরি করে সেটি ইনসেপ্টার বানানোর সক্ষমতা আছে। তাদের সঙ্গে  চীনের শর্তাদি চূড়ান্ত হলেই তারা টিকা উৎপাদন শুরু করতে পারবে। এর পাশাপাশি বেক্সিমকোও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘আশা করি আগামী ৪ থেকে ৬ মাসের মা্ধ্েয বেক্সিমকোও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শেষ করতে পারবে। তারপরও টিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি।’ সালমান এফ রহমান বলেন, করোনা মহামারির বর্তমান অবস্থায় আগামী এক থেকে দুই বছর টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। টিকা দেওয়ার পরও এখনও করোনা ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ফলে বুস্টার টিকা দেওয়ার  বিষয়টিও আলোচনায় আছে।

তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে আমরা সর্বপ্রথম সবচেয়ে কম দামে টিকা আমদানি করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগের ফলে বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে আমরা দ্রুত টিকা পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আগামী মাসে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি আছে সেটির আরেকটি চালান পাওয়া যাবে। আর আগামী বছর চুক্তির সব টিকা পাওয়া যাবে বলে আশা করি।’ পুঁজিবাজার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে সালমান এফ রাহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। এখানে যে লেনদেন হয় তার ৮০ শতাংশ আসে রিটেল বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। অর্থাৎ উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের চিত্রের পুরো উল্টো বাংলাদেশে। আমাদের পুঁজিবাজার ইক্যুইটি ভিত্তিক। এখানে বন্ড মার্কেট নেই। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় হলে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে।’ মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান প্রমুখ।
উত্তরণবার্তা/এআর

 

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ