শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৩:৪৭
ব্রেকিং নিউজ

মহাম্যাচের উত্তাপ ছড়াচ্ছে পাকিস্তান-ভারত

মহাম্যাচের উত্তাপ ছড়াচ্ছে পাকিস্তান-ভারত

উত্তরণবার্তা ডেস্ক :  খেলা যে ধরনেরই হোক। টেস্ট ম্যাচ, ৫০ ওভার কিংবা টি-টোয়েন্টি,পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের কদর আলাদা। পুরো ক্রিকেট দুনিয়ায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যাই হোক, উপমহাদেশের আঙিনায় এই দুই দেশের ২২ গজের লড়াইয়ের উত্তাপ দর্শক হৃদয়ে টগবগ করে ফোটে। বিশ্বকাপের আসরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই স্নায়ুর লড়াই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতে যারা যত বেশি মানসিক দৃঢ়তা দেখাতে সক্ষম হবে, তারাই হাসবে শেষ হাসি। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই মন্তব্য করেছেন সাবেক ক্রিকেটার কপিল দেব। ৮২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত অধিনায়ক জানিয়েছেন, হাইভোল্টেজ এই ম্যাচ যেমন নতুন তারকার জন্ম দেয়, তেমনই এক ঝটকায় মাটিতে আছড়ে ফেলে রথী-মহারথীদেরও। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দুবাইয়ে রবিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হতে চলেছে পাকিস্তান-ভারত। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে দুই শিবিরে। চলছে চাপান-উতোর।

মহাম্যাচের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দুই দেশের সাবেকদের মধ্যেও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কপিল দেব নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উন্মাদনার শেষকথা। এই ম্যাচে যে দল স্নায়ুর চাপ সামলে সেরাটা মেলে ধরতে সক্ষম হবে, তারাই বাজিমাত করবে। এক্ষেত্রে ভারতীয় দল একচ্ছত্র দাপট দেখিয়েছে বিশ্বকাপের মঞ্চে। আর সেই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে চাপ সামাল দেওয়ার ক্ষমতা। মোদ্দাকথা, খোলা মনে ম্যাচ উপভোগ করতে হবে। আর যারা অতিরিক্ত চাপের বোঝা কাঁধে তুলে নেবে তারা পড়বে বিপদে।’

কপিলের এই মন্তব্য যে ভুল নয়, তা অতীতের পরিসংখ্যানে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে। ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ১২ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। প্রতিবারই শেষ হাসি লেগেছিল টিম ইন্ডিয়ার মুখে। যার মধ্যে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণে দুবারের সাক্ষাতেই পাকিস্তানকে বশ মানিয়েছিল ধোনি-ব্রিগেড। তাই এবারের আসরেও কোহলিদেরই এগিয়ে রাখছেন ‘হরিয়ানার হ্যারিকেন’।

একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারের উপস্থিতিতে আগামী রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ভারত। তরুণ ক্রিকেটারদের পাশে রয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও। কপিলের মতে, ইশান কিষাণ-সূর্যকুমার যাদবের মতো তরুণদের সামনে সুযোগ থাকবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার। এ প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ভালো পারফরম করতে পারলেই রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে। একই সঙ্গে প্রত্যাশার চাপ থাকে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর। আর তা পূরণে ব্যর্থ হলেই জুটবে সমালোচনা। আকাশ থেকে নিমেষে নেমে আসতে হবে মাটিতে। তাই ভারতীয় ক্রিকেটারদের উচিত এবারও কোনো রকম চাপে না ভুগে স্বাভাবিক ক্রিকেট মেলে ধরা।’
উত্তরণবার্তা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK