বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২০:৫৭
ব্রেকিং নিউজ

চমেক হাসপাতালে চালু হচ্ছে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’

চমেক হাসপাতালে চালু হচ্ছে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : রোগীর সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু হচ্ছে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’।  হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীদের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা সেবা দিতে এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীর চাপ কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই সার্ভিস পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে সাময়িকভাবে সরিয়ে নেয়া হয়েছে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ। এছাড়া পুরোনো জরুরি বিভাগের পাশে ক্যাজুয়াল্টি বিভাগ, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের কক্ষগুলো ভেঙ্গে নতুন করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সুরক্ষিত ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। পুরো কাজটি শেষ করতে সময় লাগতে পারে প্রায় ছয় মাস। সার্ভিসটিতে আরও থাকবে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ), হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) এবং পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটসহ সাধারণ শয্যা।

এছাড়া এই ‘ওয়ান স্টপ সেন্টারে’ ব্যবস্থা রাখা হবে প্যাথলজি, এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাফি, পালস অক্সিমিটার এবং রক্তের জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা। রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় লাল, হলুদ, সবুজ জোনে ভাগ করা হবে। একইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টা রোগীর সেবা দিতে মেডিক্যাল অফিসারের পাশাপাশি নিয়োজিত  থাকবেন একজন সিনিয়র কনসালটেন্ট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সার্ভিসটি চালু হলে রোগীর ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে। হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, বহুদিন ধরে এই সার্ভিসটি চালুর চেষ্টা করছি। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আমাদের এই কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর কাজ চলছে৷ এই সার্ভিস চালু হলে রোগীদের জরুরি বিভাগে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করে থাকে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির বলেন, হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। এই সার্ভিসে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রাখা হবে। ইচ্ছে আছে আইসিইউ শয্যা যুক্ত করার। তিনি আরও বলেন, জরুরি বিভাগে আসা যেকোনও রোগীকে প্রথমে ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার (ইএমও) দেখবেন। এরপর রোগীর রোগ ও অবস্থা বুঝে তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে পাঠাবেন। পরে অবস্থা অনুযায়ী তার চিকিৎসা সেবা শুরু হবে। প্রয়োজন হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, চমেক হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৩১৩টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। এছাড়া বেশ কিছু রোগী রয়েছে যারা কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এইসব রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার ফলে জরুরি ও গুরুতর রোগীদের স্থান দিতে কষ্ট হয়।

উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK