শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৮:২৮
ব্রেকিং নিউজ

সাঙ্গু নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু

সাঙ্গু নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের জন্য তৈরি হলো দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতু। জেলার থানচি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রেমাক্রি ইউনিয়নের বড় মদকে সাঙ্গু নদীর ওপর ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণ করেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। এমনিতে থানচি উপজেলায় পর্যটকের আগমন সবচেয়ে বেশি। ঝুলন্ত সেতুর ফলে রচিত হবে দুই পারের মানুষের নতুন সেতুবন্ধ। পর্যটক ও এলাকার মানুষের যাতায়াতে কষ্ট কমবে। সময় বাঁচবে। খুলবে এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। পালটে যাবে পাহাড়ের কৃষি অর্থনীতি। পর্যটন শিল্পের বিকাশও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।পর্যটন শহর বান্দরবান জেলা সদরের মেঘলায় পর্যটকদের জন্য দুটি ঝুলন্ত সেতু থাকলেও শঙ্খ নদের ওপর এটি প্রথম ঝুলন্ত সেতু। দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতু দেখতে গিয়ে অনেক কিছুর দেখা মিলবে। যাত্রাপথে পড়বে মিলনছড়ি রিসোর্ট, সাইরু রিসোর্ট, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, রেমাক্রি জলপ্রপাত,ন নাফাকুম, পানিতে ডুবে থাকা বড় বড় পাথর, সবুজ পাহাড়, কোথাও পাহাড়ের বুক ভরে ফসলের জুমখেত। 
 
দেখা মিলতে পারে বুনো হাতি, বানর কিংবা অন্য কোনো বন্যপ্রাণীরও। দুই পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ের অনাবিল সৌন্দর্য, পাহাড়ি ঝিরি, ঝরনা ও নদীর অপরূপ সৌন্দর্য। বান্দরবানে আসলে আরো দেখা মিলবে কেওক্রাডং পাহাড়, ডিম পাহাড়, বগা লেক, প্রান্তিক লেক, স্বর্গসিঁড়ি, পরীর দীঘি দামাতুয়া ঝরনা, দেবতার ঝরনা ও পাহাড় শৈলকুটির রিসোর্ট স্বর্ণমন্দির স্বর্ণজাদি, মিরিঞ্জা পাহাড়, নীলাচল, নীলগিরি, তাজিংডং পাহাড়, ন্যাচারাল পার্ক, আলীর সুরঙ্গপথ, ১৩টি জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা। দেশের সবচেয়ে জাতিগত বৈচিত্র্যের এলাকা বান্দরবান।
 
 এখানে বাঙালসিহ ১৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। বাংলাদেশের কোথাও এতগুলো সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে না। সহজ-সরল উপজাতীয় অধিবাসীদের জীবনযাপনের মনোরম সারল্য পর্যটকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ঝুলন্ত সেতুটি উদ্বোধন করবেন। মন্ত্রী বীর বাহাদুর ইত্তেফাককে বলেন, আগে থানচি আসতে নৌপথে তিন দিন লাগত। বর্তমান সরকারের সময়ে সড়ক যোগাযোগ হওয়ার কারণে এখন জেলা সদর থেকে আড়াই ঘণ্টায় থানচি উপজেলায় আসা যায়। এখন মানুষ সড়কপথে সর্বত্র যাতায়াত করে। এটাই উন্নয়নের পরিচায়ক।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ