বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৩:২২

বিশ্ব হার্ট দিবস আজ, দেশে পাঁচ তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগ ঝুঁকিতে

বিশ্ব হার্ট দিবস আজ,  দেশে পাঁচ তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগ ঝুঁকিতে

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : ‘হৃদয়ে দিয়ে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর উদযাপিত হবে ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’। পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এক গবেষণা বলছে, দেশে প্রতি পাঁচ জন তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশ্ব জুড়ে হৃদরোগ ও হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস করতে ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাদ্য গ্রহণ হৃদরোগের অন্যতম কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ট্রান্সফ্যাটজনিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তাই দ্রুত ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করা না গেলে হৃদরোগ ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বাড়তেই থাকবে।
 
বিশ্ব হার্ট দিবসকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহায়তায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি ও করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ওয়েবিনারে জানানো হয়, ট্রান্সফ্যাট একটি ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান, যা হৃদরোগ ও হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ডালডা বা বনস্পতি ঘি এবং তা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার, ফাস্টফুড ও বেকারি পণ্যে ট্রান্সফ্যাট থাকে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটি অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ খসড়া প্রণয়ন করেছে। প্রয়োজনীয় ভেটিং শেষে এটি চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
 
ওয়েবিনারে অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রবিধানমালাটি চূড়ান্ত করবে সরকার। ‘গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করতে না পারলে দেশে ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি বাড়বে, চিকিত্সা খাতে ব্যয় বাড়বে এবং আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’ প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের বলেন, ‘তরুণরা ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাবার বেশি খেয়ে থাকে। খাদ্যদ্রব্য থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করা না গেলে তরুণ প্রজন্ম মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ