শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৫:৪২
ব্রেকিং নিউজ

শোষিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্যে : স্পিকার

শোষিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্যে : স্পিকার

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দরিদ্র, বঞ্চিত, শোষিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্যে। এ জন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। রোববার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
 
 শিরীন শারমিন বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অবিস্মরণীয় দিন। এদিন গণপরিষদ বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু  বলেছিলেন, দুনিয়ার ইতিহাসে দেখা যায়নি কোনো দেশ এতো অল্প সময়ে মাত্র ১০ মাসে শাসনতন্ত্র দিতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শের পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটেছে ৭২ এর সংবিধানে। দরিদ্র, বঞ্চিত, শোষিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্যে। এ জন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
 
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছরে এ দেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের ভিত্তির ওপর এ সংবিধান রচিত। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এ শাসনতন্ত্র শহীদের রক্তে লেখা। আমাদের সংবিধানের মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়বাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আগেই বলেছিলেন এ চারটি মূলনীতির ভিত্তিতে সংবিধান রচিত হতে হবে। কারণ, জনগণের জন্য জনগণ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সমাজতন্ত্রের অর্থই হলো শোষণ, বঞ্চনা দূর হবে, ধনী দরিদ্রের বৈষম্য দূর হবে, সমতা স্থাপিত হবে। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে হিন্দু, মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে রাষ্ট্র বাঁধা দেবে না। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে এ সংবিধান যেনো মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে সে দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
 
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ