উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ভোটগ্রহণ স্থগিত করে আদালত বলেছেন, ‘যেহেতু সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ দিয়েছে, আমরা আপাতত ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেখি। তারপর পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
আদেশের বিষয়টি আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।রিটের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার (২৬ জুলাই) সিলেট-৩ উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের ভার্চুয়াল একক বেঞ্চ।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আর একদিন পরে ২৮ জুলাই ভোটের দিন ধার্য রয়েছে। সেই হিসেবে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে ভোটগ্রহণের।’ আদালত তখন বলেন, ‘নির্বাচন পেছালে প্রার্থীদের খরচ বেড়ে যাবে।’
রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘নির্বাচনের চারজন প্রার্থী রয়েছেন, এর মধ্যে আমার একজন আত্মীয়। এ পর্যায়ে প্রশ্ন ওঠে নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা কী ভোট পেছাতে চান?। তারা ভোট পেছাতে চাইলেও প্রার্থী হিসেবে সেটা মুখে বলতে পারেন না।’ এ পর্যায়ে বিপুল বাগমার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’ আদালত বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত আলাদা প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু আমরা কোর্ট খোলা রাখিনি। কারণ কোর্ট খোলা থাকলে হাজার হাজার লোক এখানে আসতো। লকডাউনের মধ্যে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে সেখানেও হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটবে। সরকারঘোষিত লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ৩০ শতাংশ থেকে ধরে ৩১, এবং ৩২ পর্যন্ত আক্রান্ত হচ্ছে। নির্বাচনে জনসমাগম তো হবেই।’ এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘যেহেতু সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ দিয়েছে, আমরা আপাতত ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেখি। তারপর পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
উত্তরণবার্তা/সাব্বির