শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১১:২৪
ব্রেকিং নিউজ

ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে

ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের ঢালাও ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। কোথায় করাপশন হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে ঢালাও ভাবে বললে হবে না। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে। মাস্কের কথা বলছেন- সেই মাস্ক কোনদিনই কেনা হয়নি। পেমেন্ট করা হয়নি। রিসিভ করা হয়নি। কিন্তু মাস্কের কথা আসছে। হুইচ ইজ রং। ভালো করে খতিয়ে দেখে সঠিক কথাটি বলবেন। করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন আমরা আনার চেষ্টা করছি। কয়েকদিনের মধ্যে মর্ডানার ২৫ লাখ ভ্যাকসিন চলে আসবে। চীন ভ্যাকসিনও একই সময়ে চলে আসবে। কোভ্যাক্স থেকে আমরা ৬ কোটি ৩০ লাখ ভ্যাকসিন ডিসেম্বরের মধ্যে পাবো। চীনের সিনোফার্মার সঙ্গে দেড় কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি হয়েছে।

‘সব মিলিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটা দিয়ে আমরা ৫ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারবো। জনসন এন্ড জনসনকে সম্প্রতি অনুমতি দিয়েছি। সেখানকার ৭ কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে ৭ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারবো। আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারে পাবো সেই ভ্যাকসিন। সব মিলিয়ে আগামী বছরের প্রথম কোয়াটার্রের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারবো।’’ ৩০ জুন বুধবার  সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাসপাতালে বেহাল অবস্থার অভিযোগের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব এমপিরা তো হাসপাতালের চেয়ারম্যান। উন্নয়ন কমিটির সাথে আমরা জড়িত। আপনারা প্রত্যেকে দায়িত্বে আছেন। এই বিষয়গুলো আপনাদেরই দেখার কথা। মেশিন চলে না। লোক লাগবে। এগুলো তো আপনাদের দেখতে হবে। কিন্তু আপনারা তো সেটা দেখেন না। নার্স, ডাক্তার বা যন্ত্রপাতি লাগলে তো আপনাদেরই বলতে হবে। শুধু অভিযোগ দিলে তো হবে না। যা যা প্রয়োজন আছে তার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান হিসেবে এগুলো দেখার দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তায়।’

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি  বলেন, ‘লকডাউনে আপনারা কেউ তো বাইরে (দেশের বাইরে) যেতে পারননি। সেবা কোথায় নিচ্ছেন? সব বাংলাদেশের হাসপাতালেই সেবা নিচ্ছেন। যেতে তো পারছেন না কোথাও। হাসপাতাল সেই সেবা দিতে পারে বিধায় আপনারা সেবা নিচ্ছেন। ভালো আছেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশের স্বাস্থ্য সেবার সব স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি করোনার চিকিৎসা চলছে। প্রায় এক কোটি লোককে আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। সেখানে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। কোভিড টেস্ট করেছি আমরা প্রায় ৫০ লাখ মানুষের। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এক লাখ করোনার রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এসব কাজ আমরা করেছি বিনামুল্যেই। অক্সিজেন সেন্টার লাগানো হয়েছে ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে ১০০টি। আরো অন্যান্য অতিরিক্ত কাজ হয়েছে। এ বছরের এডিপির ১২ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিলো, ভ্যাকসিন বাদ দিলে এর ৮৫ শতাংশ অর্জন হবে। ভ্যাকসিনের ৮ হাজার কোটি টাকা ধরা হলে সেটা ১৫০ শতাংশ আমাদের অর্জন। এই হিসাবটা আমরা করি না।’
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ