শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
ঢাকা সময়: ০৪:০৮
ব্রেকিং নিউজ

আগামীকাল দেশের ২০৪ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট

আগামীকাল দেশের ২০৪ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : দেশের ২০৪ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন আগামীকাল। মহামারি করোনা ও বর্ষা মওসুমে এই নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের এবং ঝালকাঠি সদর ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভায় ভোট নেওয়া হবে এইদিন। সকাল ৮টা থেকে একটানা ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 
 
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতির নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনী এলাকায় টহল শুরু করেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় কোনো সাধারণ ছুটি থাকবে না। তবে ভোটকেন্দ্রসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, নির্বাচনী কর্মকর্তারা সাধারণ আওতায় থাকবে। ভোটারও ভোট দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিতে পারবে।
 
প্রথম ধাপে দেশের ৩৬৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হলেও করোনার উচ্চ সংক্রমণের কারণে খুলনা বিভাগের সবগুলোসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং নোয়াখালী জেলার ইউনিয়ন পরিষদের ভোট স্থগিত করা হয়। গত ১০ জুন নির্বাচন কমিশন জরুরি সভায় দেশের ১৬৩ ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়। ওই সময় করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ বিবেচনায় নিয়ে বরিশাল বিভাগের ১৭৩টি ইউপি, নরসিংদী জেলার দুটি, গাজীপুর জেলার ছয়টি, মাদারীপুরের ১৩টি, সুনামগঞ্জের দুটি, লক্ষ্মীপুরের ৬টি এবং রংপুর ও বগুড়ার একটি করে ইউপিতে ভোট হবে।
 
২০৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ২০টিতে ইভিএমে ( ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটগ্রহণ হবে। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন এবং পৌরসভা দুটির ভোটগ্রহণ ইভিএমে হবে। নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এদিকে রোববার দিবাগত মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে তা শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়।
 
নির্বাচন কমিশনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার দেশের ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জুন কমিশন সভায় পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৬৭ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৬৩টির ভোট স্থগিত করে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য র‌্যাবের ১০টি টিম, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৮ প্লাটুন সদস্য, প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য পুলিশের একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে। দুটি পৌরসভার প্রতিটির জন্য র‌্যাবের দুটি, দুই প্লাটুন বিজিবি এবং পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। 
 
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতি ইউপিতে পুলিশের একটি মোবাইল টিম, প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য পুলিশের ১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি উপজেলার জন্য র্যাবের দুটি টিম ও তিন প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে মাদারীপুর, গাজীপুর ও নরসিংদীতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে ভোট হচ্ছে এ কারণে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান।
 
যেসব ইউপিতে ভোট:
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাংগাশিয়া, আংগারিয়া (ইভিএম) ও মুরাদিয়া। বাউফল উপজেলার ধুলিয়া, কেশবপুর, বগা (ইভিএম), চন্দ্রদ্বীপ, কালিশ্বরী, কনকদিয়া, আদাবাড়িয়া, কালাইয়া ও কাছিপাড়া। দশমিনা উপজেলায় আলীপুর, বহরমপুর ও বাঁশবাড়িয়া। গলাচিপা উপজেলায় আমখলা, গোলখালী, চিকনিকান্দি ও রতনদী তালতলী। 
 
বরিশাল সদরের কাশিপুর, চরবাড়িয়া (ইভিএম), জাগুয়া ও টংগীবাড়ীয়া। বাকেরগঞ্জের চরাদি, দাড়িয়াল, দুধল, ফরিদপুর, কবাই, নলুয়া, কলসকাঠি, গারুড়িয়া, ভরপাশা, রঙ্গাশ্রী ও পাদ্রীশিবপুর। উজিরপুরের সাতলা, জল্লা, ওটরা, শোলক ও বোরোকোঠা। মুলাদীর নাজিরপুর, সফিপুর, গাছুয়া (ইভিএম), চরকালেখা, মুলাদী ও কাজিরচর। মেহেন্দিগঞ্জের মেহেন্দিগঞ্জ ও ভাষানচর।
 
বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর (ইভিএম), কেদারপুর, দেহেরগতি ও মাধবপাশা। গৌরনদীর বাটাজোড় (ইভিএম), সরিকল, খানজাপুর, বার্থি, চাদশী ও মহিলারা। হিজলার নলচিরা, মেমানিয়া, গুয়াবাড়িয়া ও বড়জালিয়া। বানারীপাড়ার বিশারকান্দি, ইলুহার, চাখার, সালিয়াবাকপুর, বাইশারি, বানারীপাড়া ও উদয়কাঠি। বরগুনা সদরের বদরখালী, গৌরিচন্না, ফুলঝুড়ি, কেওড়াবুনিয়া, আয়লাপাতাকাটা, বুড়িরচর, ঢলুয়া (ইভিএম), বরগুনা (ইভিএম) ও নলটোনা। 
 
আমতলীর গুলিশাখালী, কুকুয়া, আঠারগাছিয়া, হলদিয়া, চাওড়া (ইভিএম) ও আরপাঙ্গাশিয়া। বেতাগীর বিবিচিনি, বেতাগী (ইভিএম), হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সরিষামুড়ি। বামনার বুকাবুনিয়া, বামনা, রামনা ও ডৌয়াতলা। পাথরঘাটার কালমেঘা, কাঁকচিড়া ও কাঁঠালতলী। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ভিটাবাড়িয়া, নদমুলা-শিয়ালকাঠী, তেলিখালী (ইভিএম), ধাওয়া ও গৌরিপুর। ইন্দুরকানীর বালিপাড়া।
 
পিরোজপুর সদরের কদমতলা (ইভিএম), কলাখালী, টোনা ও শারিকতলা। মঠবাড়িয়ার তুষখালী (ইভিএম), মিরুখালী, বেতমোর রাজপাড়া, আমড়াগাছিয়া, সাপলেজা, হলতাগুলিশাখালী। নেছারাবাদের আটঘর কুড়িয়ানা, বলদিয়া, গুয়ারেখা, দৈহারী, সোহাগদল, সারেংকাঠী, সুটিয়াকাঠী, স্বরুপকাঠী, সমুদয়কাঠী ও জলাবাড়ী। কাউখালীর আমড়াজুড়ি ও কাউখালী। নাজিরপুরের মাটিভাংগা, মালিখালী, নাজিরপুর ও সেখমাটিয়া (ইভিএম)। ঝালকাঠি সদরের গাভারামচন্দ্রপুর, বিনয়কাঠী (ইভিএম), নবগ্রাম, কীর্তিপাশা, বাসন্ডা, গাবখান, ধানসিড়ি, শেখেরহাট, নথুল্লাবাদ (ইভিএম) ও কেওড়া।
 
নলছিটির ভৈরবপাশা (ইভিএম), মগড়, কুলকাঠি, কুশঙ্গল, নাচনমহল, রানপাশা, সুবিদপুর, সিদ্ধকাঠি, দপদপিয়া (ইভিএম) ও মোল্লারহাট। রাজাপুরের সাতুরিয়া, শুক্তগড় (ইভিএম), রাজাপুর, গালুয়া, বড়ইয়া ও মঠবাড়ী। কাঠালিয়ার চেচরীরামপুর, পাটিখালঘাটা, আমুয়া, কাঠালিয়া, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া। ভোলার বোরহানউদ্দিনের গঙ্গাপুর ও সাচরা। তজুমদ্দিনের চাঁদপুর, চাচরা ও সম্ভুপুর। চরফ্যাশনের চরমাদ্রাজ, চরকলমি, হাজারীগঞ্জ, এওয়াজপুর ও জাহানপুর। মনপুরার হাজিরহাট ও দক্ষিণ সাকুচিয়া। নরসিংদী পলাশের গজারিয়া ও ডাংগা। 
 
গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমুলিয়া, বক্তারপুর, জাঙ্গালিয়া, বাহাদুসাদী, জামালপুর ও মোক্তারপুর। মাদারীপুর শিবপুরের শিবচর, পাঁচ্চর, মাদবরেরচর, কুতুবপুর, কাদিরপুর (ইভিএম), দ্বিতীয় খণ্ড, ভান্ডারীকান্দি, বাঁশকান্দি, বহেরাতলা উত্তর, বহেরাতলা দক্ষিণ, নিলখী, শিরুয়াইল ও দত্তপাড়া। সুনামগঞ্জ ছাতকের নোয়ারাই ও সিংচাপইড়। লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর বাদাম, চর পোড়াগাছা ও চর রমিজ। কমলনগরের চর ফলকন, হাজিরহাট ও তোরাবগঞ্জ। রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী এবং বগুড়ার দুপচাচিয়ার তালোড়া।
উত্তরণবার্তা/সাব্বির

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK