শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৫:৫৮
ব্রেকিং নিউজ

বাংলার মুখ হাতিয়া দ্বীপ

বাংলার মুখ হাতিয়া দ্বীপ

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : মেঘনা আর বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশির প্রচণ্ড দাপটে অনেকটা মাগুর কিংবা ডলফিনের আকৃতি নিয়ে দৃশ্যমান হাতিয়া। উঁচু-নিচু পাথরের পথ পাড়ি দিতে অথবা সমুদ্রের অথৈ জলরাশির ছোঁয়া পেতে এখানে ছুটে আসেন অনেকে। অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠার উপযুক্ত কয়েকটি স্থানের মধ্যে পতেঙ্গা সি-বিচ কিংবা নেভাল একাডেমী অনন্য। হাতিয়াজুড়ে বিস্তীর্ণ খোলা আকাশের নিচে সবুজ প্রান্তর, গ্রামীণ নয়নাভিরাম শোভা, পাখপাখালির কলকাকলি। চারদিকে নদী আর সমুদ্রের অপূর্ব আচ্ছাদন দ্বীপবাসীর জীবন ও জীবিকার চমৎকার সম্মিলন। মেঘনার উছলে পড়া ঢেউয়ের তালে তালে রূপোলী ইলিশের আছড়ে পড়া—এ যেন রূপকথার পরীর মতো। হাতিয়ার রূপের ষোলো আনা পূর্ণ করে একে তিলোত্তমা হাতিয়ায় পরিণত করেছে।
পর্যটকদের প্রিয় কয়েকটি স্থানের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো সাগরকন্যা বলে পরিচিত এখানকার নিঝুমদ্বীপ। হাতিয়ার সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে কেওড়া বনে হরিণের সরব উপস্থিতি আর বানরের এ ডাল থেকে ও ডালে লাফালাফি, স্বল্পদৈর্ঘ্যের হলেও চমৎকার সমুদ্রসৈকত নিঝুমদ্বীপকে করেছে অনন্যসাধারণ। দ্বীপের আঁকাবাঁকা সরু পথ ধরে এক পাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত ঘুরে বেড়ানো আনন্দের। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপস্থিতি এ দ্বীপের সৌন্দর্যের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। শত কর্মব্যস্ততার পরও যখনই একটু সময় পাই ছুটে আসি আমার স্বপ্নের স্বর্ণভূমি হাতিয়ায়। শুধু অপলক দৃষ্টিতে প্রকৃতির স্নেহে লালিত বঙ্গোপসাগরের রূপসী কন্যা খ্যাত তিলোত্তমা হাতিয়ার সৌন্দর্য উপভোগ এক দারুণ অভিজ্ঞতা। আমার মতে, পৃথিবীর উৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্যে ঘেরা সবুজ-শ্যামল অঞ্চলসমূহের মধ্যে হাতিয়াই সেরা।
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK