শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৮:০১
ব্রেকিং নিউজ

পুষ্টিভরা এক পাহাড়ি বাগান

পুষ্টিভরা এক পাহাড়ি বাগান

উত্তরণ বার্তা  প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর পাহাড়ি এলাকার উঁচু টিলায় এক চমৎকার বাগান গড়ে তুলেছেন এখানেরই সুন্দ্রাটিকি গ্রামের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম। রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের কাছে প্রায় ৪ একর ১২ শতক জমি নিয়ে গড়ে ওঠা এ টিলা এখন সবার কাছে ‘নূরুল ইসলামের বাগান’বলে পরিচিত। পাহাড়ি টিলার এ বাগানে লেবু, পেঁপে, কলা, শাক, বারোমাসি সবজি, নাগা মরিচ চাষ করা হয়। রয়েছে আম, কাঁঠাল, লিচু ও পেয়ারা গাছও। আবার এ টিলায় দেশি গরু এবং মুরগীও পালিত হচ্ছে ।
 
এরমধ্যে বারোমাস লেবু, পেঁপে, কলা, নাগা মরিচ, সবজি বিক্রি করে ভালই আয় হচ্ছে নূরুল ইসলামের। খাঁটি দুধ হিসেবে গরুর দুধের বিক্রিও ভাল। মৌসুম এলে বিক্রি হয় আম-কাঁঠালও। দেশি মুরগী ডিমেরও চাহিদা বেশ। মুরগীও বিক্রি হয়। ঈদ এলে বিক্রি হয় দুই একটি গরু। সরেজমিন গেলে এসব তথ্য জানান বাগানের পাহারাদার জমির আলী। একটি টিলায় যেন নানাবিধ উপায়ে পুষ্টির সমারোহ। বলা যায়, এ যেন পুষ্টিভরা এক পাহাড়ি বাগান।
 
ঘুরে দেখা গেছে কেমিক্যাল ছাড়াই এ বাগানের ফসল চাষ হচ্ছে। প্রাকৃতিক ঘাস খেয়ে মোটাতাজা হচ্ছে গরু। গরুর গোবর দেয়া হচ্ছে গাছের গোড়ায়। বাগান থেকে উৎপাদন হওয়া ফসল বিক্রির পাশাপাশি পাহারাদার ও মালিক পক্ষ নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটান। পাহারাদার জমির আলী জানান, কেমিক্যাল ছাড়াই এ বাগানে ফসল চাষ হয়। বাগানের প্রধান ফসল লেবু। তিনি বলেন, ‘গরু পালন করায় একাধিক লাভ। কারণ গরুর দুধ পাওয়া যায়। গোবর ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন হচ্ছে। মাংসওয়ালা গরু বিক্রি করা যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে চাকরি করে মনোরম পরিবেশে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। কেমিক্যাল মুক্ত সবজি, দুধ ও ফল খেতে পারছি। এ ব্যাপারে মালিকের কোন বাধা নিষেধ নেই। যারফলে পুষ্টি নিয়ে আর ভাবতে হচ্ছে না।’
 
মালিক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বাগান পরিচালনায় প্রচুর খরচ লাগে। তারপরও লাভ হচ্ছে। কেমিক্যাল মুক্ত চাষাবাদ করতে পেরে আমি ধন্য। বাগানের মধ্যে বিদ্যুৎ থাকায় বিরাট উপকার হয়েছে। শুকনো মৌসুমে পাম্পের মাধ্যমে গাছের গোড়ায় গোড়ায় পানি দেয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, একই পাহাড়ের চালিতা নামকস্থানে তার আরেকটি বাগান রয়েছে। সে বাগানেও লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হচ্ছে। এখানের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. এমএ মোতালিব বলেন, বাগানটিতে কেমিক্যাল ছাড়া ফল-সবজির আবাদ হচ্ছে। উৎপাদিত এর সবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। পুষ্টিভরা এমন বাগান যত গড়ে ওঠে ততই মানুষের জন্য ভাল।
 
উত্তরণ বার্তা/এআর
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ