শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৭:৪২
ব্রেকিং নিউজ

মা তুমি আবার এসো আকুতিতে দেবী দুর্গার বিসর্জন

মা তুমি আবার এসো  আকুতিতে দেবী দুর্গার বিসর্জন

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : ‘ধান-দুর্বার দিব্যি, মা তুমি আবার এসো’...বাঙালি হিন্দু ভক্ত কণ্ঠের এমন আকুতির ভেতর প্রতিমা বিসর্জনে বিদায় হলো দুর্গার। ’শান্তিজল’ গ্রহণে অনাড়ম্বরে শেষ হলো বাঙালি হিন্দুদের সাংবাত্সরিক সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উত্সব শারদীয় দুর্গাপূজা। পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোত্সবের দশমীতে গতকাল মণ্ডপে মণ্ডপে দশমীর বিহিতপূজার মধ্য দিয়ে ঘটে সমাপ্তি। অতঃপর দেবীর বিসর্জন আর শান্তিজল গ্রহণ।

হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, টানা পাঁচ দিন মাটির প্রতিমারূপে মণ্ডপে মণ্ডপে থেকে দুর্গা ফিরে গেছেন কৈলাসে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে। সকালে বিহিতপূজার পর ভক্তের কায়মনো প্রার্থনা আর ঢাক-ঊলুধ্বনী-শঙ্খনিনাদে হিন্দু রমনীদের পরম আকাঙ্ক্ষিত সিঁদুর খেলা মুখর হয়ে ওঠে। একদিকে বিদায়ের সুর। অন্যদিকে উত্সবের আমেজ। এবার গজে বিদায় নিলেন দেবী দুর্গা। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী গজে বিদায়ের তাত্পর্য হলো ‘শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা’।

গতকাল সোমবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে দশমী বিহিতপূজার লগ্ন শুরু হয়। পূজা শেষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির থেকে বুড়িগঙ্গা বা নিকটবর্তী কোনো জলাধারে প্রতিমা বিসর্জন দেন। তবে করোনা মহামারির কারণে এবারে প্রতিমা বিসর্জনে কোনো শোভাযাত্রা বের করা হয়নি। করোনা সংক্রমণ এড়াতে এ বছর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও সংক্ষিপ্ত করা হয়।

উত্সব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে এবারের দুর্গোত্সবকে শুধু ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ। এবারের পূজায় মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি সীমিত করা ও সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় মণ্ডপ। ছিল না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়। পূজার সময় বেশির ভাগ ভক্ত এবার অঞ্জলি নিয়েছেন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে।

এদিকে বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে গতকাল ছিল সরকারি ছুটির দিন। পূজা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী প্রদান করেন। বিজয়া উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করে। এ ছাড়া জাতীয় দৈনিকগুলো এ উপলক্ষ্যে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করে।

উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ